Lok Sabha Election 2024
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : লোকসভা নির্বাচনের মুখে অবিভক্ত মেদিনীপুরের প্রবীন প্রতিষ্ঠাতা বিজেপি নেতা যোগ দিলেন তৃণমূলে। মেদিনীপুর শহরে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে তৃণমূলের রাজ্য নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার প্রবীন বিজেপি নেতা প্রদীপ পট্টনায়েকের হাতে তুলে দিয়েছেন দলের পতাকা। প্রদীপ পট্টনায়েক অবিভক্ত মেদিনীপুরের বিজেপির প্রথম থেকে নেতৃত্ব দেওয়া একজন নেতা। প্রদীপের দাবি, বিজেপি আদর্শচ্যুত, যাদের প্রতিনিধি হিসেবে লড়ার জন্য পাঠানো হচ্ছে তাদের সাথে মানুষের সম্পর্কই নেই। তাই দল ছাড়লাম।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
প্রদীপ পট্টনায়েক এর আগে লোকসভা ও কয়েকদফাতে বিধানসভা নির্বাচন লড়েছেন। তবে কোনোবারই জয়লাভ করতে পারেননি। দিলীপ ঘোষকে খড়্গপুর ২০১৯ এ প্রার্থী করার পরে তার বিরোধিতা করেছিলেন প্রদীপ পট্টনায়েক। তিনি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করতে নেমেছিলেন। পরে কোনোভাবে দলের পক্ষ থেকে ম্যানেজ করা হয়। তারপর ফের দলের হয়ে কাজ করেছিলেন। কিন্তু পরে ফের পৌরসভা নির্বাচনে হিরন চ্যাটার্জীকে বিজেপি প্রার্থী করে। বিধানসভা নির্বাচনেও হিরণকে প্রার্থী করে বিজেপি। যা মেনে নিতে পারেন নি প্রদীপ।
তারপর থেকেই দলের মধ্যে দুরত্ব তৈরী করে নেন। এর মাঝেই ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে ফের হিরণকে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করে বিজেপি। মেদিনীপুরে করে অগ্নিমিত্রা পালকে। প্রদীপ বাবু বলেন, “এই সমস্ত লোকজন স্থানীয় কেউই নয়। তাদের সাথে মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই । তাদেরই বারবার শুভেন্দু অধিকারীর ইশারাতে প্রার্থী করা হচ্ছে। স্থানীয়দের কোনো মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। সর্বোপরি দিলীপ ঘোষকে সরানো হল কোনো এক বিশেষ ইশারাতে। আমি এই দিলীপ ঘোষের জন্য খড়্গপুরে লড়াই করে ৪৫ হাজারের বেশি ব্যাবধান তৈরী করেছিলাম কিন্তু বর্তমানের নেওয়া সিদ্ধান্ত যা দলের ভিত বারবার নষ্ট করা হচ্ছে।
Lok Sabha Election 2024
আরও পড়ুন : মাধ্যমিকে এবারেও সেরা দশে পূর্বের ৭ পড়ুয়া, পড়ুন বিস্তারিত
আরও পড়ুন : “আত্মবিশ্বাসই সাফল্যের চাবিকাঠি”! ঝাড়গ্রামে মাধ্যমিকে প্রথম অন্বেষার লক্ষ্য ইঞ্জিনিয়ারিং
এরই প্রতিবাদে দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম। অন্তুতঃ মানুষের জন্য কিছু কাজ তো করা যেতে পারে।” তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “এটা একটা বড় সিদ্ধান্ত। বিজেপির সাংগঠনিক ভিত্তি এই জেলাতে একেবারেই নষ্ট হল। বিজেপির যিনি এই অবিভক্ত মেদিনীপুরের আসল প্রতিষ্ঠাতা তিনিই বিজেপিতে সম্মান পাননি। তাহলে ওরা মানুষকে কিভাবে সম্মান দেবে।” বিজেপির জেলা সহ সভাপতি অরুপ দাস বলেন, “উনি পুরোনো নেতা ছিলেন। কিন্তু দল বিরোধী কাজেও ছিলেন। দল ওনাকে অনেক সম্মান দিয়েছে। কিন্তু শেষ সময়ে ওনার মনে হল উনি নিজস্ব উদ্দেশ্য তৃণমূলে গিয়ে চরিতার্থ করবেন। তবে ওনার মনে রাখা উচিত এই করতে গিয়ে শাসকদলের অনেকেই জেলে গিয়েছে।”
আরও পড়ুন : জেলায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম মেদিনীপুর মিশন গার্লসের তনুকা
আরও পড়ুন : মাধ্যমিকে জেলায় প্রথম মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের কৌস্তভ , প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Lok Sabha Election 2024
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper