Home » নতুন করে খড়্গপুরে করোনায় আক্রান্ত ১, সিল করা হলো ছোট আয়মা এলাকা , একসাথে ২৪ জনকে পাঠানো হলো কোয়ারেন্টাইন

নতুন করে খড়্গপুরে করোনায় আক্রান্ত ১, সিল করা হলো ছোট আয়মা এলাকা , একসাথে ২৪ জনকে পাঠানো হলো কোয়ারেন্টাইন

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

পত্রিকা প্রতিনিধি :ফের করোনার থাবা খড়গপুর শহরে ।১৯ বছরের এক তরুণীর করোনা সংক্রমনের হদিস মিলেছে বলে জানা যায় স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে ।কিভাবে কোথা থেকে হল এই সংক্রমণ তা নিয়ে নাজেহাল স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা ।খড়গপুর রেল কারখানা সংলগ্ন ওয়ার্ড অর্থাৎ ছোট আয়মার বাসিন্দা এই তরুণী ।ঘটনায় ২৪ জনকে কোয়ারেন্টাইন এ পাঠানো হয়েছে ।জানা যায় গত ২১ মে শারীরিক উপসর্গ নিয়ে ওই তরুণী খড়গপুর রেলের জোনাল হাসপাতালে ভর্তি হয় ।চিকিৎসকেরা তার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল শুক্রবার তরুনীর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে।খবর আসতেই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুলিশ প্রশাসন ।শনিবার সকালেই এলাকায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ ।তরুনীর বাবা,মা ও ভাইকে পাঠানো হয় কোয়ারেন্টাইনে।পরিবার সূত্রের খবর তরুনীর ভাই বিশাখাপত্তনমে পড়াশোনা করে ।গত ২০ মার্চ লকডাউনের পূর্বেই তিনি বাড়ি ফিরে আসেন ।তরুণীর পিসিমার পরিবার খড়্গপুরের মথুরাকাটি এলাকায় থাকেন ও পিসেমশাই কর্মসূত্রে অন্ধ্রপ্রদেশে থাকেন ,তিনিও লকডাউন এর পূর্বেই বাড়ি ফিরে আসেন।বিশেষ সূত্রের খবর দুই পরিবারের মধ্যে প্রতিনিয়ত যাতায়াত ছিল ।প্রায় ৫ দিন ওই তরুণী মথুরা কাটিতে কাটিয়ে ফিরে আসার পরেই আক্রান্ত হন ।
পুলিশ বা স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রাথমিক অনুমান ,যেহেতু তরুনী ভাইয়ের সাথে সরাসরি সংস্পর্শে এসেছেন তার থেকেই সংক্রমণ আসার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি ।এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে প্রায় ২ মাস পরে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তি সংক্রমিত কিভাবে হতে পারেন ?হু এর তথ্যানুযায়ী করোনার স্থায়িত্ব বড়জোর ১৪ থেকে ১৮ দিন হতে পারে ।স্বাস্থ্য দপ্তরের চিকিৎসকের মতে বিষয়টি খুব অসম্ভব নয় ।সংক্রমিত ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা শক্তিশালী হলে উপসর্গহীন হয়ে থাকেন ।‍১৪ দিনের মধ্যে তার দ্বারা যিনি সংক্রমিত হয়েছিলেন তিনি অভ্যন্তরীণভাবে শক্তিশালী হওয়ায় উপসর্গহীন ছিলেন।এইভাবে চেইন পদ্ধতিতে তা তরুনীর কাছে এসে পৌঁছায় এবং তরুণী শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা না থাকায় তা প্রকট হয় ।অথবা সেই একই পদ্ধতিতে তরুণী তার পিসিমার পরিবার থেকে আক্রান্ত হতে পারেন।
তরুণী নিজেও বিশাখাপত্তনমে থেকেই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর গত এক বছর বাড়িতে থেকেই দূরশিক্ষায় কলেজে পড়াশোনা করতেন । সে শেষ এক বছর মুড়াকাটি অঞ্চলে নিরন্তর যাতায়াত করত। কি কারণে দিনের পর দিন পিসিমার বাড়িতে যাতায়াত করতো বা সেখানেই থাকতো তা এখনও পুলিশ জেনে উঠতে পারেননি। তরুনীর বাবা রেলের কারখানায় কাজ করতেন । গত ২১ মে থেকে কাজ শুরু হওয়ায় পুলিশ তরুনীর বাবার ৮ সহকর্মী ,তরুনীর পিসির পরিবার ও একটি ভাড়াটিয়ার পরিবার মিলে এখনো ২৪ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে । আক্রান্ত তরুণী আপাতত রেলের হাসপাতালেই ,শনিবার পুরো এলাকা সিল করে কনটেইনমেন্ট জোন করে পুলিশ-পিকেট বসানো হয় ।

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.