Rash Utsav
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: একদিকে আকাশে অতিকায় চাঁদ। অন্যদিকে ক্যালেন্ডারে কার্তিক পূর্ণিমা। যে পূর্ণিমার খ্যাতি রাস পূর্ণিমা হিসেবে। বিভিন্ন জেলায় রীতি মেনে পালিত হচ্ছে এই দিনটি। রাস উৎসব ঘিরে মেতে উঠেছে চৈতন্যভূমি, নবদ্বীপ থেকে শান্তিপুর। আর তাতে বাদ পড়েনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের পঁচেটগড় রাজবাড়ির প্রায় ৫০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব।সর্বত্রই এখন সাজ-সাজ রব। মণ্ডপ তৈরি থেকে থিম সাজানোয় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।
আরও পড়ুন:- এবার কন্যাশ্রীদের স্কুল মুখি করতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছাবে জেলা প্রশাসন
আরও পড়ুন:- টাকা পেলেও আবাস যোজনায় বাড়ি না করায় প্রশাসনিক অভিযান পূর্ব মেদিনীপুরে, নন্দীগ্রামে গ্রেফতার ৪
ইতিহাস বলছে, একসময় এই পুজোর জাঁকজমক দুর্গা পুজোর চেয়ে কোনও অংশে কম ছিল না। করোনা আবহে রীতি মেনে পালকি চড়ে বিগ্রহ বেরোলেও অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি সাধারণ মানুষ। রাজপরিবার সূত্রে জানা যায়, ওড়িষ্যার আটঘর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বাড়ির আদি পুরুষ কালামুরারি দাস মহাপাত্র। জগন্নাথ দেবের সামনে নিত্যদিন সঙ্গীত পরিবেশন করতেন তিনি। সেই সঙ্গীতেই মুগ্ধ হয়ে রাজা তাকে মন্দির পরিচালনা র দায়িত্ব দিয়েছিলেন। মন্দিরের পাশে পেয়েছিলেন জমি। পরবর্তী সময় জাহাঙ্গীর এর নজরে পড়ে যান। তাকে বাংলা, বিহার ও তাম্রলিপ্ত বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেন মোঘল সম্রাট।
Rash Utsav
আরও পড়ুন:- নিজের বিয়ে আটকে ‘বীরাঙ্গনা’ পুরস্কার পাচ্ছেন মেদিনীপুরের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রুমা
কাজটি তিনি সূচারুভাবে করেন এবং পটাশপুর এলাকার খাঁড়ে বিশাল গড় নির্মাণ করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে উদ্ধার হয় শিবলিঙ্গ। শিবলিঙ্গের চারপাশে বেনারস থেকে আনা আরো চারটি শিবলিঙ্গ বসানো হয় ।ঐ শিবলিঙ্গ দিয়েই কালামুরারি দাস মহাপাত্র তৈরি করেন পঞ্চেশ্বর মন্দির। ধিরে ধিরে পঞ্চেশ্বর নামটি প্রচার হতে থাকে। এখানেই তিনি তৈরি করেন পঁচেটগড় রাজবাড়ি। শ্রী চৈতন্যদেব যখন পটাশপুর হয়ে পুরী গিয়েছিলেন তখন জমিদার বাড়ির সদস্যরা শৈব থেকে বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষা নেন। পরে জমিদার বাড়ির কুলদেবতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন কিশোররাই জিউ।
যাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর কার্ত্তিক পূর্নিমা থেকে শুরু হয় রাস উৎসব। আর তা থেকেই পঁচেটগড় রাজবাড়ির রাস উৎসব এখন সর্বসাধারণের উৎসব। এই উৎসব ধর্ম সংস্কৃতি ও সামাজিক ঐক্যের এক অপার মিলন ক্ষেত্র। প্রতিবছর এই উৎসব উপলক্ষে মেলায় শুধু জেলা নয় জেলা ছাড়িয়ে পাশ্ববর্তী রাজ্য ওড়িষ্যা থেকেও হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান। তবে করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ায় মানুষের ঢল পুরোনো দিনের মতো আবারও নামবে এই রাস উৎসবে বলে দাবি রাজপরিবারের।
আরও পড়ুন:- প্রশাসনের সচেতনতার পরও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন ব্লকে ধানের জমিতে পুড়ছে নাড়া
Rash Utsav
প্রসঙ্গত, পঁচেটের রাস উৎসবে প্রতি সন্ধ্যায় কিশোররাই সহ কুড়িজন মহাপ্রভু বিগ্রহ মঞ্চে থাকেন। তবে রাতে ফের মূল মন্দিরে ফিরে আসেন কিশোররাই। আগামী ২৩ নভেম্বরে দধি উৎসবের দিন প্রতিবারের মতোই ভোর থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত রাস মঞ্চে থাকবেন কিশোররাই জিউ। মেলা শুর হলো ১৯ নভেম্বর চলবে ২৮ শে নভেম্বর পর্যন্ত। প্রশাসনের অনুমতিক্রমে দশদিনের মেলায় ভিড় আটকাতে পর্যাপ্ত পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় গোটা মেলাচত্বরে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এবছর মেলা হলেও সবটাই হবে কভিড বিধি মেনে।এবারও বসছে না সঙ্গীতের আসর গেটের মধ্যে থাকছে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা। থাকছে মাক্স বিতরণ করা কথা জাননো হয়েছে। অপরদিকে শতাব্দীপ্রচীন জবদা রাস মেলাও এবার করোনা বিধি মেনে হবে। রাস পূর্ণিমায় জবদা রাসমন্দিরে প্রভু। প্রথা মেনে বাতাসা ভোগ দেওয়া হবে। তবে মন্দির চত্বরে করোনা বিধি মেনে দর্শনার্থীরা আসতে পারবেন বলে মেলা কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
Rash Utsav
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: On one side is the giant moon in the sky. On the other hand, Kartik full moon in the calendar. That full moon is known as Ras Purnima. This day is being celebrated in different districts according to the customs. Chaitanyabhumi, Shantipur from Navadwip has risen around the Ras festival. Not to be outdone is the nearly 500-year-old Ras festival at Panchetgarh Rajbari in Potashpur in East Midnapore district. Last minute preparations are in full swing for arranging the theme from making mandap.
History has it that once upon a time, the splendor of this puja was no less than that of Durga puja. Ordinary people could not attend the ceremony even though the idol was taken out in a palanquin following the custom of corona. According to royal sources, Kalamurari Das Mohapatra, the first man of the house, was a resident of Atghar area of Orissa. He used to perform music daily in front of Jagannath Dev. Fascinated by the music, the king gave him the responsibility of running the temple. He got land next to the temple. The next time Jahangir caught his eye. He was given the responsibility of managing the ports of Bengal, Bihar and Tamralipta by the Mughal emperor.
He did the job well and built a huge average in the gorge of Potashpur area. Shivling was later rescued. Four more Shivalingas brought from Benares were placed around the Shivalinga. Gradually the name Pancheshwar began to spread. It was here that he built the Panchetgarh palace. When Sri Chaitanyadev went to Puri via Potashpur, the members of the zamindar’s house took initiation from Shaiva to Vaishnavism. Later, Kishorerai Jiu was established as the family deity of the zamindar’s house.
The Ras festival starts from the full moon of Karthik every year. And since then the Ras Utsav of Panchetgarh Rajbari is now a public festival. This festival is one of the boundaries of religion, culture and social unity. Every year on the occasion of this festival, thousands of people from the neighboring state of Orissa gather not only in the district but also in the district. However, as the situation in Corona is gradually becoming normal, the royal family claims that the influx of people will come down again like in the old days.
Incidentally, in the Ras festival of Panchet, twenty Mahaprabhu Vigraha Manchas are held every evening along with the teenagers. However, the teenagers returned to the main temple at night. On 23rd November, on the day of Dadhi Utsav, the teenagers will be on the Ras Mancha from dawn to 11 pm as usual. The fair started on 19th November and will continue till 28th November. With the permission of the administration, adequate police and volunteers have been deployed to stop the crowd at the ten-day fair.
CCTV cameras have been installed in the entire fairground for the safety of the visitors. Even if there is a fair this year, everything will be in accordance with the rules of Covid. It is learned that Max has been distributed. On the other hand, the century-old Jabda Ras Mela will also follow the Corona rules this time. Lord on the full moon at Jabda Rasmandir. The lollipops will be enjoyed according to the custom. However, according to the fair committee sources, visitors will be able to come to the temple premises following the Corona rules.