পত্রিকা প্রতিনিধি: সারা দেশজুড়ে চলছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। ধীরে ধীরে যানবাহন পরিবহন সব তাই যখন স্বাভাবিক হচ্ছে। গত ১লা জুলাই থেকে দিঘা মৎস্য কেন্দ্রের দরজা খুলে গেলো ইলিশের দেখা মিলছিল না তাই জেলার মানুষ হতাশায় ভোগে ছিল। মৎস্যজীবীদের মাথায় হাত।
এমতাবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার ব্রজলাল চক, চৈতন্যপুর দুর্গাচক টাউনশিপ মাছের বাজার ভরেছে পদ্মার ইলিশে।ছোট থেকে মাঝারি সব সাইজের ইলিশ মিলছে এই সমস্ত বাজারে।তবে বর্ষা আসা মানেই মাছ প্রিয় বাঙালি সবার আগে খোঁজ করে ইলিশ মাছের।
মৎস্যজীবী সন্তোষ কুমার বাগ বলেন তিনি বাংলাদেশ থেকে প্রায় 150 কেজি ইলিশ মাছ হলদিয়া টাউনশিপ এনেছেন। মাছের ওজন সব থেকে বড় প্রায় দু কিলো তিনশো। বাজারে ইলিশ আসতেই রবিবারের মাছের বাজারে হলদিয়ার মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে । তিনি বললেন এক স্বনামধন্য ব্যবসায়ী প্রায় পাঁচ টি মাছ নিয়ে ছেন। মাছ কেনার ভিড় জমে উঠেছে ঠিকই । সন্তোষবাবু দুঃখ প্রকাশ করে বলেন। সাধারণ মানুষ কে মাছের বাজারে দেখা যায় নি। তিনি বলেন সাধারণ মধ্যবিত্তের মধ্যে মানুষকে দেখতে পাওয়া যায়নি বেশিরভাগ উচ্চ-মধ্যবিত্ত মাছের বাজারে।
সব রকমই দামে অর্থাৎ পাঁচ শত টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত মাছ পাওয়া যায়।সাধারণ মানুষের বাজেটের মধ্যেই আজকের পদ্মার ইলিশ।
কিন্তু সকলের জন্য ছোট-বড় সব রকমের ইলিশ। হলদিয়া টাউনশিপে ইলিশের বাজারে দেখার মতো ভিড় । অনেকে মাছ কিনতে পারেনি কিন্তু পদ্মার ইলিশ দেখার স্বাদ কিন্তু কেউ ছাড়ে নি তাই আসতেই সাধারণ মানুষ ছুটে গেলেন দেখার জন্য।
একজন ইলিশ মাছ ক্রেতা বললেন পেশায় তিনি শিক্ষকতা করেন সুপ্রিয়া দাস তিনি জানালেন যে আমরা দেশের ইলিশ খেয়েছি কিন্তু পদ্মার ইলিশ ! দেখতে যেন যেমন সুন্দর লেগেছে নিশ্চয়ই রান্না করলে ভালো লাগবে । ইলিশ ভাপা , ইলিশের ঝাল, সরষে ইলিশ, ইলিশের তেল, দই ইলিশ। নাগাড়ে আজ রবিবার বাসরীয় বৃষ্টির মাঝে বাঙালি মন ডুব দিতে চায় ইলিশের রকমারি পদে।
[9:25 PM, 7/2/2020] বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা: subham chobi dao