ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : অসময়ের নাগাড়ে বৃষ্টিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ধান ও আলু চাষে ব্যাপক ক্ষতি। জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ২৩.৯ মিলিমিটার। বৃষ্টির জোর তেমনভাবে না থাকলেও জেলার মেদিনীপুর সদর, শালবনী, কেশপুর, নারায়ণগড় সহ বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় একনাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ার ফলে চাষের জমিগুলোতে জল জমতে শুরু করে দিয়েছে। তার ফলে ধান ও আলু চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন জেলার কৃষকরা।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
শালবনীর কৃষক গৌতম জানা বলেন, “মাঠ থেকে ধান বাড়িতে তুলে নিলেও কিছুদিন আগে দুই বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছিলাম। এই বৃষ্টিতে পুরোটাই জলে ডুবে গিয়েছে। সবটাই নষ্ট হয়ে যাবে।” জেলার কৃষি আধিকারিক দুলাল দাস অধিকারী জানিয়েছেন, “কৃষকরা ধান বাড়িতে তুলে নিয়েছে ৭৪ শতাংশ। বাকি অংশের কিছু গাছ দাঁড়িয়ে আছে, তার ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। এবং যেগুলো কাটার পর জমিতে পড়ে আছে সেগুলো ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। এছাড়া জেলায় প্রতিবছর ৭০-৭২ হাজার হেক্টর আলু চাষ হয়।
Heavy Rain
আরও পড়ুন : মর্মান্তিক! নিজের বাড়িতে ইলেকট্রিক শকে মৃত্যু সিভিক ভলান্টিয়ারের
আরও পড়ুন : একনাগাড়ে বৃষ্টি, জমিতে জমছে জল! পশ্চিম মেদিনীপুরে মাথায় হাত আলু চাষীদের
এ বছর এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজার হেক্টর আলু চাষ হয়েছে। যারা সদ্য আলু লাগিয়েছে তাদের ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। এবং যারা আলু লাগাবে বলে জমি তৈরি করে রেখেছিল তাদের আরও দু’সপ্তাহ পিছিয়ে যেতে হবে। কারণ আলু লাগানোর পরিবেশ বৃষ্টি থামলেও থাকবে না।” জেলা শাসক খুরশিদ আলী কাদরী জানিয়েছেন, “বৃষ্টি যে পরিমাণ হয়েছে তাতে লাল সতর্কতা বলার মত অবস্থা নয়। যদি পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যায় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর তৈরি রয়েছে। কৃষিতে যা ক্ষতি হয়েছে তার তালিকা তৈরি হচ্ছে।”
আরও পড়ুন : আলো না জ্বালিয়েই ছুটছে টোটো, “পুলিশ কিছু বলেনি” দাবি টোটো চালকের
আরও পড়ুন : জঙ্গলমহলে ঝুমুর সম্রাট বিজয় মাহাতোর নামে বিজয় মেলার প্রস্তুতি বৈঠক
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Heavy Rain
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper