Chandrakona Rural Hospital : খবরের জেরেই হাসপাতালে অস্থায়ী ভাবে একটি জেনারেটরের ব্যবস্থা করলো ঘাটালের মহকুমাশাসক। গত বুধবার ঘাটাল মহকুমাশাসকের দফতর থেকে একটি জেনারেটর পাঠানো হয় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে। বিদ্যুৎ চলে গেলে আপাতত সেই জেনারেটরের মাধ্যমে হাসপাতালে বিদ্যুৎ পরিষেবা মিলবে এমনটাই জানানো হল হাসপাতালের তরফে।
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : জেনারেটর বিকল, বিদ্যুৎ চলে গেলেই অন্ধকারে ডুবে যেতো পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতাল। এই খবরের জেরেই হাসপাতালে অস্থায়ী ভাবে একটি জেনারেটরের ব্যবস্থা করলো ঘাটালের মহকুমাশাসক। গত বুধবার ঘাটাল মহকুমাশাসকের দফতর থেকে একটি জেনারেটর পাঠানো হয় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে। বিদ্যুৎ চলে গেলে আপাতত সেই জেনারেটরের মাধ্যমে হাসপাতালে বিদ্যুৎ পরিষেবা মিলবে এমনটাই জানানো হল হাসপাতালের তরফে।
আরও পড়ুন : পশ্চিম মেদিনীপুরে অবৈধ গাছ কাটার অভিযোগে গ্রেফতার ১৬ জন, বাজেয়াপ্ত ২৬৮৫ টি গাছ
জানা যায়,এই জেনারেটরের সাহায্য আপাতত হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার,জরুরি বিভাগ সহ রোগীর ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ পরিষেবা মিলবে। এপ্রসঙ্গে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ ডঃ স্বপ্ননীল মিস্ত্রি জানান,’ঘাটাল মহকুমাশাসকের দপ্তর থেকে অস্থায়ী ভাবে একটি জেনারেটর দেওয়া হয়েছে,তাকে দিয়েই আপাতত কাজ চলবে। জেনারেটর সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য জেলাশাসক ও সিএমওএইচ’কে জানানো হয়েছে আশাকরি তারও দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন : পশ্চিম মেদিনীপুরে স্ত্রী’কে অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী
উল্লেখ্য,চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর বিকল হয়ে পড়ে,এমনকি খড়গপুরের একটি সংস্থাকে টেন্ডার দিয়ে হাসপাতালে জেনারেটর পরিষেবা মিললেও গত সাড়ে তিন বছর সেই ঠিকাদার সংস্থার বিল বকেয়া প্রায় ১৪-১৫ লক্ষ টাকা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই বিল না মেটানোয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তারা হাসপাতালে জেনারেটর পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। এর জেরেই বিদ্যুৎ চলে গেলে গোটা হাসপাতাল অন্ধকারে ডুবে যায়।
আরও পড়ুন : এক বছর পর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য ও কৃষি দফতরে নিয়োগ দুই স্থায়ী কর্মাধ্যক্ষ
বিদ্যুতহীন অবস্থায় ওয়ার্ডে মোমবাতি জ্বালিয়ে থাকতে হয় রোগীদের।এমনকি গরমে রোগীরা থাকতে না পেরে ওয়ার্ডের বাইরেও বেরিয়ে চলে আসে। হাসপাতালের এমন বেহাল অবস্থার ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেতেই নড়েচড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। আপাতত ঘাটাল মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাসের তৎপরতায় তার দফতরে থাকা একটি জেনারেটর চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Chandrakona Rural Hospital
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore