Fishing in the sea
আরও পড়ুন ঃ–পাঁশকুড়ায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১, আহত ৪
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ টানা দু’মাস অর্থাৎ ৬১ দিন সমুদ্রে মৎস্য শিকার বন্ধের নির্দেশিকা জারি হওয়ার আগেই মৎস্য শিকার বন্ধ করে দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের মৎস্যজীবী সহ লঞ্চ ও ট্রলার মালিকগণ। তবে প্রতি বছর মতো এবারও ১৫ ই এপ্রিল থেকে ১৪ ই জুন প্রায় ৬১ দিন ব্যান পিরিয়ডের জন্য কেন্দ্র সরকারের আইন অনুযায়ী মৎস্য শিকার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন । যেহেতু ওই সময় মাছের প্রজনন এবং বৃষ্টির মরসুম। কিন্তু এবার মৎস্য জীবি থেকে ট্রলার মালিকগণ নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে নির্দেশিকা জারির অনেক আগেই মৎস্য শিকার বন্ধ করেছেন। একদিকে ডিজেলের অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধি সমুদ্রে মাছের দেখা মিলছে না। অপরদিকে করোনার জের চলছে ভোট পর্ব – কর্মীদের সংখ্যা কম অনেক মৎস্যজীবীরা এবার তেমন ভাবে ব্যবসায় নামেননি। ফলে এবছর মাছের ব্যবসা প্রচুর পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এবিষয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিসারম্যন এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি প্রনব কর জানান, ডিজেলের অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধিতে মৎস্যজীবীদের ভর্তুকির দাবি জানিয়ে ও কোনো সুরাহা করেনি রাজ্য কিংবা কেন্দ্র সরকার। তাই ব্যান পিরিয়ড শুরুর আগে থেকেই সব বন্ধ হয়েছে এবং পরবর্তী মরসুমে মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে মৎস্য শিকারের জন্য যাবেন কিনা তাও অনিশ্চিয়তা রয়েছে।
অপরদিকে দীঘা ফিসার ম্যান এন্ড ফিস ট্রেডার্স এ্যসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস জানান, এবছর মরসুমের শুরুতে করোনার আবহে মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যাত্রা ও মৎস্য নিলাম কেন্দ্র খোলার ক্ষেত্রে অনেক ক্ষোভ বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল একমাস পিছিয়ে শুরু করা হয়েছিল কিন্তু তারপরও মৎস্যজীবীদের নানান প্রতিকুলতার মধ্যে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় তাই ব্যান পিরিয়ডেরসরকারি নির্দেশিকা জারির আগেই মৎস্য শিকার বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন ট্রলার মালিকগণ। সরকার যদি মৎস্যজীবীদের কথা না ভাবে আগামী দিনে সামুদ্রিক মাছ বাঙালির পাতে আসবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Fishing in the sea
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore