পত্রিকা প্রতিনিধি: জঙ্গলমহল জুড়ে জমি থেকে বাড়িতে কৃষকরা তুলে নিয়েছেন ধান। সেভাবে নেই লাউ, কুমড়োর মতো সবজিও। জঙ্গলেও অভাব বট, বাঁশ, খেজুর গাছের। শালপাতায় কতদিন চলবে বা শালপাতা সেভাবে খেতেও চাইনা হাতি। তাই খাবারের খোঁজে হন্যে হয়ে এক গ্রাম থেকে আর এক গ্রামের জনবসতির মধ্যে প্রবেশ করছে হাতি। সঙ্গে রয়েছে আগুনের হুলার তাড়া খাওয়া। সুযোগ পেলেই ধান, চাল, তিলের খোঁজ পেতে হানা দিচ্ছে গৃহস্থের বাড়িতে। মেদিনীপুর বনবিভাগের লালগড় রেঞ্জের হদহদি গ্রামের একটি বাড়িতে খাবারের খোঁজে হানা দেয় একটি হাতি। ঐ এলাকার জঙ্গল থেকে হঠাৎ রাত্রে এলাকায় হাতিটি প্রবেশ করলে বুঝতে পারেননি গ্রামবাসীরা। শনিবার ভোর চারটা নাগাদ ধানের গন্ধে যখন ঐ গ্রামের বাসিন্দা সনাতন মাহাতর বাড়ির লোহার দরজা ভেঙে ধান খায় তখন ভাঙার শব্দে ঘুম ভেঙে যায় মানুষজনের। পরে গ্রামের লোকজন বেরিয়ে এসে হাতিটিকে তাড়িয়ে দিলে জঙ্গলে প্রবেশ করে। সরকারী নিয়ম অনুসারে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বনদপ্তর। বাড়ির মালিক সনাতন মাহাত জানান – আগে হাতি ছিল না, হঠাৎ করে চলে এসেছে। বাড়ির দরজা ভেঙে ধান খেয়েছে। আজও পাশের জঙ্গলে রয়েছে হাতিটি। আবার যদি এসে বাড়ি ভাঙে, তাই চিন্তায় আছি।
0