পত্রিকা প্রতিনিধি: পরিবর্তনের আরেক নাম নন্দীগ্রাম, যার হাত ধরে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিলেন মা-মাটি-মানুষের সরকার। সেই সরকারের বহুল প্রচারিত স্বাস্থ্যসাথী কাড দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। সেই নন্দীগ্রামের মানুষ কাড থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা পেলেন না।রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মত নন্দীগ্রাম জুড়ে চলছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি।লাইনে হাজার হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেখালেই মিলবে চিকিৎসা। কিন্তু স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকা সত্ত্বেও মিলল না চিকিৎসা।
ঘটনাটি নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের খোদামবাড়ী ২ গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত গোপালপুর এলাকার ।জানা গেছে এই এলাকার বাসিন্দা রতন দাস এর বাবা পুলিন বিহারী দাস,বেশ কিছু দিন ধরে বাধ্যক্য জনিত কারণে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গত মঙ্গলবার পরিবারের তরফে তাঁকে প্রথমে রেয়াপাড়া গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতাল থেকে অ্যম্বুলেন্সে করে তমলুক জেলা হাসপাতাল পাঠায়।কিন্তু তমলুক হাসপ্সতালে বেড না পাওয়ায়,তাঁরা বাধ্য হয়ে তমলুকের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমের ভর্তি করান।
পরিবারের দাবি, সুচিকিৎসার আশায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে তমলুকের আনন্দলোক নামের এক নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্য যান । পরিবারের অভিযোগ, কার্ড দেখেই নার্সিংহোম জানিয়ে দেয়, এই কার্ড এই রোগীর ক্ষেত্রে মূল্যহীন। এই কার্ডে চিকিৎসা হবে না। পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য স্বাথী কার্ডের টোলফ্রী নম্বরে যোগাযোগ করলে কোনো উত্তর পাননি বলে জানান। এর জেরে পুলিন বিহারী দাস এর পরিবারের মাথায় হাত।যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে মাথায়।আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় শেষমেষ বৃদ্ধকে চিকিৎসার জন্য জমি,বাড়ি বন্ধক রেখে অর্থ সংগ্রহ করে চিকিৎসা করাতে বাধ্য হয়। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের যৌক্তিকতা নিয়ে।তাই এই পরিবারের দাবি সরকার এমন পদক্ষেপ করুক যাতে অসহায় মানুষদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও নার্সিংহোম আর না ফিরিয়ে দেয়। এটুকুই চান বৃদ্ধের পরিবারের সদস্যরা।