পত্রিকা প্রতিনিধিঃ বন দফতরের সচেতনতা মূলক প্রচার যাই থাকুক না কেন, জঙ্গলে গাছের শুকনো ঝরা পাতায় আগুন লাগানোর ছবি এখনও দেখা যায় প্রতিনিয়ত। কখনও জঙ্গলে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। দাউ দাউ করে পুড়তে থাকে একের পর এক জঙ্গল। মানুষের লাগানো আগুনে বন্যপশু পাখির স্বাভাবিক জীবনযাপন বিঘ্নিত হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের নয়াগ্ৰামের তপোবন জঙ্গলে এইরকম একটি ঘটনার শিকার হল একটি হরিণ শাবক। জানা গিয়েছে, আগুনের ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে তপোবন জঙ্গল থেকে দলছুট দিয়ে একটি হরিণ শাবক ডুকে পড়ে ওই গ্রামে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে এলে দু-দিন আগে থেকে ওই হরিণ শাবকটিকে ধরার চেষ্টা করে গ্রামবাসীরা।
তবে তারা ধরতে পারেননি। আতঙ্কে একের পর এক গ্রামে ঘুরতে থাকে ওই হরিণ শাবকটি। তবে শেষমেশ বুধবার ভোররাতে কোনো এক প্রাণীর আক্রমণে হরিণ শাবকটির মৃত্যু হয়। এরপর ওই হরিণ শাবকটির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় সাঁকরাইল ব্লকের রগড়া অঞ্চলের দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমিত্রা সিং এর বাড়ির সামনে। তবে ওই হরিণ শাবকের মৃতদেহ গ্রামবাসীর নজরে এলে আশেপাশের গ্রাম থেকেও স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন এবং মৃত শাবকটিকে একবার দেখার জন্য ভিড় করেন। তাছাড়া কীভাবে তার মৃত্যু হল তা জানা যায়নি।
তবে গ্রামবাসীদের প্রাথামিক অনুমান, রাতের অন্ধকারে কুকুরের আক্রমণে প্রাণ হারায় সদ্যোজাত হরিণ শাবকটি। এই ঘটনার খবর পেয়ে শাবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যান বনকর্মীরা। তবে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দু দিন ধরে একটি বন্য প্রাণী জঙ্গলের বাইরে ঘুরলেও প্রাণীটিকে উদ্বার করার কোন পদক্ষেপ নিল না কেন বন দফতর!