পত্রিকা প্রতিনিধি : পরপর চারদিনে শহরের তিনজন প্রাণ হারালেন করোনা আক্রান্ত হয়ে। ঘটনাক্রমে, তিনজনেরই মৃত্যু হল লেভেল ফোর করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। করোনা কালে প্রথম দিন থেকেই যে হাসপাতাল সাফল্যের সঙ্গে বহু করোনা আক্রান্ত’কে সুস্থ করে বাড়ি পাঠিয়েছে! সেখানেই, পরপর চারদিনে মেদিনীপুর শহরের যে ৩ জন প্রয়াত হলেন, পরিজনদের মতে তাঁদের বিশেষ কোনো শারীরিক সমস্যা ছিলনা, শুধুমাত্র জ্বরের উপসর্গ ছাড়া। আজ বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ, হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে, নিজের বেডে (শয্যায়) বসে বসেই প্রাণ হারালেন রাঙ্গামাটির ব্যবসায়ী (৫০)। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেল, তিনি ফোনে পরিবারের কোন সদস্য বা বন্ধু’র সাথে কথা বলছিলেন, হঠাৎই বুকে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করেন। ভেন্টিলেশনে নিয়ে যাওয়ার আগেই, তিনি প্রাণ হারান বলে জানা যায়। মাত্র ২ দিন আগে (২ রা আগস্ট) করোনা সংক্রমিত হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। covid news, covid news
আরও পড়ুন- কার্টুন দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে ৭ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ মামাতো ভাগ্না বিরুদ্ধে
সূত্রের খবর অনুযায়ী মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত আগে পর্যন্ত তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, একেবারেই আকস্মিক এই মৃত্যু! ভেন্টিলেশনে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্ট্রেচার আনতে আনতেই তিনি প্রাণ ত্যাগ করেন। এই ঘটনায়, একদিকে যেমন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিস্মিত, ঠিক তেমনই এই খবরে যেন ‘বিনা মেঘে বজ্রপাত’ ঘটে গেছে তাঁর পরিবারে, যাঁরা এখন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। সুস্থ, সবল এই মাঝবয়সী মানুষটি প্রতিদিন মর্নিং ওয়াক করতেন বলে তাঁর বন্ধু বান্ধবেরা। তবে, ইদানিং সুগারের একটু সমস্যা এসেছিল বলেও তাঁর ঘনিষ্ঠ একজন জানিয়েছেন। আরেক বন্ধু বললেন, শ্বাসকষ্টের সামান্য সমস্যা হচ্ছিল কয়েকদিন ধরে, সেই কারণেই হয়তো হঠাৎ করে এই ঘটনা ঘটে গেল! সুবীর বাবুরা তিন ভাই, তিনজনেরই নানারকম ব্যবসা রয়েছে। সুবীর বাবু আলু-পেঁয়াজের বড় ব্যবসা (পাইকারি) করতেন। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় শোকোস্তব্ধ তাঁর পরিবার ও বন্ধু বান্ধবেরা! শহরের পঞ্চম এই মৃত্যুতে মেদনীপুর বাসীও শোকাহত!
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi