পত্রিকা প্রতিনিধি: উদ্বোধন হয়ে গেল হল সেতুর। গ্রামবাসী রা এপার থেকে ওপারে পায়ে হেঁটে, পুজার ফুল জল ছিটিয়ে উদ্বোধন করলেন সেতুর।
সকাল থেকেই উৎসবের মেজাজ গোটা সেতুটাকে সাজানো হয়েছে রঙিন কাগজ, শাল গাছ ও পাতা দিয়ে। সেতুর নিচে খুঁটি তে চলছে আদিবাসী প্রথায় পুজা পাঠ।
আর পাঁচটা সেতুর থেকে এটা আলাদা একারনেই যে শ্রম থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সবই গ্রামবাসী রা বহন করেছে। কাজে হাত লাগিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক রাও। প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো সহায়তাই নেয়নি তারা।
তিন মাসের বেশি সময় ধরে জামবনি ব্লকের উত্তরাশোল, পারুলিয়া, জড়কাশোল সহ এলাকার গ্রামের মানুষদের চেষ্টায় তৈরি মজবুত বাঁশের সাঁকোটি সমাপ্ত হয়েছে গতকাল। এই গ্রামগুলি মূলত আদিবাসী অধ্যুসিত গ্রাম।
আজ রবিবার এই সেতুটি উদ্বোধন করলেন গ্রামের মানুষ জন রাই ।
গ্রামবাসী দের বক্তব্য প্রতি বারই বর্ষা শুরু হলে সদর এর সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ। বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্র চরম সমস্যা য় পড়তে হয়। স্থানীয় নেতা বা বিডিও স্তরে একাধিক বার বলেও কোনো ফল হয়নি। তাই নিজের সুবিধার্থে নিজেদের কাঁধেই তুলে নিয়েছিলেন সেই ভার। কাজ টা সোজা না হলেও বহু পরিশ্রমের পর রুপ পেয়েছে সেতু টি।
আদিবাসীদের নিজস্ব সংস্কৃতি মেনে পুজার পরেই উদ্বোধন হয় সেতুর।উৎসবের মেজাজে চলল খাওয়া দাওয়া।যোগসূত্র স্থাপন হল স্বাস্থ্য কেন্দ্র , ব্লক সদরের সাথে।
ফের এক অন্য নজির তৈরী করলো এই মানুষ গুলো।