Asha Worker
ওয়েব ডেস্ক ,বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা হোক বা পশ্চিম মেদিনীপুর, বন্যায় জলমগ্ন এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে কোমর জল পেরিয়ে যেতেন আশাকর্মীরা। অথচ তারাই পেলেন না প্রতিমাসে পাওয়া ইন্সেন্টিভের টাকা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন ব্লকের আশাকর্মীরা তিন থেকে চার মাসের ওই টাকা পাননি বলে অভিযোগ। কেন্দ্র সরকারের দফতর থেকে পেয়ে থাকেন ইন্সেন্টিভ ভাতা। পুজোর আগেও ওই টাকা না মেলায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। কাজের চাপে আশা কর্মীদের এমনিতেই হিমশিম অবস্থা। গ্রাম বাংলার তৃণমূল স্তরের জনস্বাস্থ্যের ভার এঁদের ওপর। কার জ্বর হয়েছে, কোন মায়ের কি অবস্থা, কে কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত, টিকার ব্যবস্থা করা, গর্ভবতী মহিলাদের দিনে রাতে যখনই দরকার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সহ নানা পরিষেবা দিয়ে চলেছেন আশাকর্মীরা।
আরও পড়ুন:- পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু, তৎপর স্বাস্থ্য দফতর
গত বছর থেকে বাড়তি যুক্ত হয়েছে করোনা চিকিৎসার দায়িত্ব। প্রতিদিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করা, কারও জ্বর হলে করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করা, করোনা পজিটিভ হলে ওষুধ বাড়ি পৌঁছে দেওয়া, প্রতিদিন অক্সিজেন মাপা, ভ্যাকসিনের জন্য তালিকা প্রস্তুত করা এবং সমস্ত রিপোর্ট প্রতিদিন সেন্টারে গিয়ে জমা দেওয়া। এক কথায় স্বাস্থ্য পরিষেবার বিরাট দায়িত্ব এঁদের উপর। তারাই বঞ্চিত কেন্দ্র থেকে পাওয়া ভাতা। এক আশাকর্মী বলেন, নির্দিষ্ট কোনো টাকার পরিমাণ নেই। প্রতিমাসে কিছু কাজের জন্য ওই টাকা পেতাম। কেউ 1000 তো, কেউ 1500 টাকা করে। গত চার মাস হলো সেই টাকা পাইনি।
Asha Worker
আরও পড়ুন:- নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় সেখ সুফিয়ানের জামাই সহ ১১ জনকে গ্রেফতার CBI-র
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর শহরে লক্ষাধিক টাকার মোবাইল চুরির কিনারা করল পুলিশ, গ্রেপ্তার ১
তবে কেন্দ্র সরকার মাঝে মধ্যে বিভিন্ন পরিষেবার টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। আশাকর্মীরা জানান, গত বছর কোভিডের কাজের জন্য কেন্দ্র মাসে ১০০০ টাকা বরাদ্দ করেছিল। ছ’মাস পর বন্ধ করে দেয়। রাজ্য সরকার গত বছর করোনা পজিটিভ স্বাস্থ্যকর্মীদের এক লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল, কিন্তু আজ পর্যন্ত এ টাকা অধিকাংশ আশাকর্মীই পাননি। তবে বন্যা পরিস্থিতিতে আশাকর্মীদের কাজের প্রশংসা করেছেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবন চন্দ্র হাঁসদা।
আরও পড়ুন:- সিপিআই মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টারে জল্পনা মেদিনীপুর শহরে
আরও পড়ুন:- পূর্ব মেদিনীপুরের প্রায় ৪৫০ বছরের প্রাচীন পঁচেটগড় রাজবাড়ির দুর্গাপূজায় সাজো সাজো রব
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Asha Worker
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: Whether in the south 24 Parganas of the state or in West Midnapore, hopefuls would cross the river to reach health services in flood-hit areas. But they did not get the incentive money received every month. It is alleged that the hopefuls of different blocks of the West Midnapore district did not get the money for three to four months. He gets incentive allowance from the central government office. Even before Pujo, there was anger that the money did not match. Asha workers are in a dilemma due to work pressure. The burden of grassroots public health in rural Bengal is on them. The hopefuls are providing various services including who has fever, what is the condition of any mother, who is infected with leprosy, vaccination, taking pregnant women to the hospital whenever needed day and night.
Covid19 treatment responsibilities have been added since last year. Doing door-to-door surveys every day, arranging for corona tests if someone has a fever, delivering medicine home if the corona is positive, measuring oxygen every day, preparing a list for vaccines and submitting all reports to the center every day. In a word, the huge responsibility of health service is on them. They are deprived of the allowance received from the center. One hopeful said there was no fixed amount of money. I used to get that money for some work every month. Some do 1000, some 1500 rupees. I haven’t received that money for the last four months.
However, the central government has stopped paying for various services from time to time. Ashakarmi said the center had allocated Rs 1,000 per month for Kovid’s work last year. Closed after six months. The state government had announced last year to give one lakh rupees to Corona positive health workers, but to date most of the hopefuls have not received this money. However, District Health Officer Bhuban Chandra Hansda praised the work of the hopefuls in the flood situation.