Extortion
আরও পড়ুন ঃ-বিয়ে করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে মেদিনীপুর শহরে পুলিশের হাতে পাকড়াও প্রেমিক-প্রেমিকা
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ বিভিন্ন কাজের অনিশ্চয়তা নিয়ে এরাজ্য থেকে ভিন রাজ্য পাড়ি দিয়েছিলেন একাধিক মানুষ। তবে করোনা মহামারীর বৃদ্ধি ঘটায় ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফেরার মুখে রেল পুলিশের জুলুমের শিকার পরিযায়ী শ্রমিকরা। খড়্গপুর স্টেশনে পৌঁছনো পরিযায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ রেল পুলিশের বিরুদ্ধে। রাজ্য সরকার আজ ,রবিবার থেকে লকডাউন ঘোষণা করার পর আজ সকালে দূরপাল্লার ট্রেন খড়গপুর স্টেশনে পৌছলে ট্রেনযাত্রীরা কিভাবে বাড়ি পৌঁছেবেন সে ব্যাপারে তাদের মাথায় হাত পড়েছে। সঠিক পরিমাণে যানবাহন না থাকার কারণে তারা ভেবে উঠতে পারছে না কিভাবে বাড়ি পৌছাবেন। কিছু ট্রেন যাত্রী খড়গপুরে স্টেশনে বসে আছেন তো কেও সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডে গাড়ির অপেক্ষায় বসে আছেন।
গাড়ি না পাওয়ায় ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। খড়গপুর স্টেশনে ট্রেন পৌঁছলে ট্রেন যাত্রীদের কাছে জিআরপির সিভিক ভলেন্টিয়ার জোর করে টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ ট্রেনযাত্রীদের। এক ট্রে যাত্রী দীপা বাগ বলেন, ট্রেনের মধ্যে কোন সমস্যা হয়নি। খড়গপুরে স্টেশনে নামার পর জানা গেল লকডাউন চলছে। ট্রেন থেকে নেমে আসার সময় সিভিক পুলিশেরা ১ হাজার টাকা করে নিচ্ছে। আমাদের কাছে আধার কার্ডের জেরক্স আছে। অরিজিনাল নেই বলে টাকা নিয়েছে। গাড়ি নেই আমরা বসে আছি অনেকক্ষণ থেকে। রাজস্থান থেকে এসেছি বর্ধমান যাব, অনেক সমস্যা হচ্ছে।
আর এক ট্রেন যাত্রী অমিত বেরা বলেন, বেঙ্গালুরু থেকে খড়গপুর স্টেশনে এসেছি গোপীবল্লভপুরে বাড়িতে যাবো। ব্যাঙ্গালুরুতে কাজ করি। খড়গপুর বাসস্ট্যান্ডে বসে আছি। ওখানে লকডাউন হয়ে গেছে আমাদের কাছে বেশি টাকা নেই। যত টাকা ছিল তা দিয়ে টিকিট কেটে এসেছি। ট্রেনে শুনলাম এখানে লকডাউন হয়ে গেছে। এখানে ট্রেন থেকে নামার পর জিআরপির সিভিক পুলিশরা বলছে করোনা টেস্ট করে ১৩ দিন এখানে করেনটাইনে থাকতে হবে। আমরা বললাম গ্রামে যাওয়ার আগে আমরা করোনা টেস্ট করে যাব। কিন্তু তারা না শুনে আমাদেরকে হুমকি দিয়ে যত টাকা ছিল নিয়ে নিল। এক ঘন্টা ধরে বাসস্ট্যান্ডে বসে আছি। বাড়ির লোকেদের জানিয়েছি। ওরা বাড়ি থেকে গাড়ির ব্যবস্থা করে পাঠাবে। পাশাপাশি ট্রেন যাত্রী সুশান্ত পইড়া বলেন, যশোবন্তপুর থেকে এসেছি নয়াগ্রাম যাব। খড়গপুর বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছি। এখানে তো গাড়ি বন্ধ আছে। দেখছি যদি কিছু পাওয়া যায়, না হলে হেঁটে হেঁটেই বাড়ি যেতে হবে। অপরদিকে খড়গপুর স্টেশনের জিআরপি আইসি রাজিব রঞ্জন সিং জানান, আমার এই ব্যাপারে কিছু জানি না। সমস্ত বিষয় জেনে জানাবো।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Extortion
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore