বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : এই মহুর্তে সারা জেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলা জুড়ে এক নতুন ভাইরাস এর এপিডেমিক চলছে। রেসপিরেটরী সিনসিটিয়াল ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে ছোটছোট শিশুরা। মূলত ডাক্তারী ভাষায় বলা হচ্ছে RSV ( Respiratory syncytial virus) প্রধানত এক বৎসরের নীচে শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এই ভাইরাসঘটিত রোগের ফলে মূলত বাচ্চার জ্বর,কাশি দেখা দেবে। আর এই অস্বাভাবিক ভাবে কাশি চলবে ২০ থেকে ৩০ বার। কিছুটা স্বস্তি পেলেও আবারো কিছুক্ষণ পর এই অসৃবাভাবিক কাশি চলতে থাকে।বাচ্চা রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়ে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group 1: Click Here
For WhatsApp Group 2: Click Here
এরফলে চিকিৎসকেরা শিশুকে অক্সিজেন পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। মূলত শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকছে। আর এই ভাইরাাঘটিত রোগের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে।এই মুহুর্তে পূর্ব- পশ্চিম মেদিনীপুর,হাওড়া,ঝাড়গ্রাম জেলায় RSV প্রকোপ লক্ষ্য করা গেছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর সুস্থতা না হওয়ার ফলে কোলাঘাটের একটি বেসরকারি শিশু হাসপাতালে গত কয়েকদিন ধরে ৫০ টি রোগীর দেখা মিললো। তবে এই মুহুর্তে ১০ টি বাচ্চা চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিশিষ্ট শিশু চিকিৎসক ডাক্তার প্রবীর ভৌমিক জানান, এই সময়ে আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে, এই সময় এই ভাইরাস ঘটিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে।সারা রাজ্যে এর প্রকোপ বাড়ছে।
তবে এবছর এই RSV প্রকোপ সবথেকে বেশী বলে হানান শিশু চিকিৎসব ডাক্তার প্রবীর ভৌমিক।তিনি বলেন, সারা মাসে তার শিশু চিকিৎসালয়ে প্রায় ৫০ RSV আক্রান্ত শিশু ভর্তি হয়েছিলো। এখন ১০ জন শিশু এই রোগ নিয়ে ভর্তি আছে। কয়েকজন খুব খারাপ অবস্থায়। ওই শিশুদের জন্য ভেন্টিলেশনে এর ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। শিশুরা এই রোগ বাড়ির বড়দের কাছ থেকে পাচ্ছে।এটা নিউমোনিয়া রোগ নয়। এটা হলো শিশুদের ক্ষুদ্র শ্বাসনালীর প্রদাহ। এই গুলি খুব সরু ,তাই স্বাস ও প্রশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয় সহজেই। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে রেসপিরেটরি সিন্সিটিয়াল ভাইরাস দিয়ে। এই বারে এই ভাইরাস এপিডেমিক আকারে দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন : প্লাবিত ঘাটাল, মেদিনীপুর শহরেও বাড়িতে ঢুকলো জল
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ
যেহেতু এই ভাইরাস এর কোনো ঔষধ নেই,তাই দামী দামী এন্টিবায়োটিক ব্যবহার, শিশুর ক্ষতি করছে। অতিরিক্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে বিপদ ডেকে আনছে বলে মন্তব্য করেন শিশু চিকিৎসক প্রবীর বাবু।তিনি আরো জানান, PCR এর মাধ্যমে এই রোগ শিশুর কফ থেকে টেস্ট করে ধরা যায়। অনেক বাচ্চাদের এটা অনেক দিন ধরে আক্রমন হওয়ায় ফুসফুসে ক্ষতি করে।ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে জীবনহানির ভয় থাকে। বাড়িতে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া চিকিৎসা না করলে বিপদ হতে পারে। Nebuliser এর ব্যবহার অক্সিজেন দিয়ে করতে হবে,নাহলে সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা আছে ।
অক্সিজেন মাত্রা ও লক্ষ্য রাখা ও পুষ্টির দিকে নজর রাখতে হবে। বেশি কান্না কাটি করলে স্বাস ও প্রশ্বাস এর গতি আরও বেড়ে যাবে।সেদিকে সঠিক নজর দিতে হবে। অনেক সময় X-RAY করে দেখে নেওয়া ভালো। বাড়ির লোক জন করোনা কালে যেভাবে হাত ধোয়া ও মাস্ক পড়া,বাইরে থেকে এসে ভালো করে হ্যান্ড ওয়াশ ও সর্দি কাশি হলে নিজেকে ছোট শিশুদের থেকে মাস্ক পড়া দূরে সরিয়ে রাখা বিশেষ প্রয়োজন। এই ভাইরাস এর কোনো ভ্যাকসিন নেই ও ঔষধ ও নেই। তাই অতিরিক্ত সতর্কতা দরকার বলে জানান কোলাঘাটের বিশিষ্ট শিশু চিকিৎসক ডাক্তার প্রবীর ভৌমিক।
আরও পড়ুন : ইসরোর দরবারে পিংলার সৌম্যদীপ! ভবিষ্যতে স্বপ্ন গবেষণার
আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Paschim Medinipur
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper