ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : লোকসভা ভোটে মূল ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে চাকরি বাতিল। শাসক দলকে কড়া ভাষায় নিশানা করছে বিরোধীরা। এবার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তিনি বলেন, “পুরুলিয়ার চাকরির সিটগুলি বিক্রি করেছিল মেদিনীপুরের লোককে।” উচ্চ আদালত ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল পুরো বাতিল করে দিয়েছে। চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। তারপরই দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা জেলেও গিয়েছেন। তবে বাতিল হওয়া চাকরি প্রার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টেও যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়ার সমর্থনে দাঁতনের জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ থাকেন এই প্যানেল বাতিল নিয়ে। তিনি বলেন, “আমরা চাকরি দিচ্ছি, ওরা চাকরি কাড়ছে। বলছে বোমা ফাটাবে। ২৬ হাজার শিক্ষকদের চাকরি খেয়ে নিল। যেন মগেরমুলুক। আমি নিজেও আইনটা একটু একটু জানি।
Lok Sabha Election
আমি নিজেও আইনজীবী।” তবে বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দাঁতনের জনসভার মঞ্চ থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে গদ্দার বলে তোপ দাগালেন। তিনি বলেন, “কাজ করতে গিয়ে যদি কোন ভুল হয় সংশোধন করে দাও। সময় দাও করে দিব। সব মানুষ যে সব কাজ সঠিকভাবে করতে পারে তার কোনো মানে নেই। যাদের চাকরি চলে যাবে তাদের পরিবার না খেতে পেয়ে মারা যাবে। ১২% সুদ সহ চার সপ্তাহের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হবে।
আরও পড়ুন : নির্বাচনী প্রচারে পশ্চিম মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী
এত বড় সাহস? অনেক বোমা আছে না? অনেক পিস্তল আছে? তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গেল কেন? টাকা রক্ষা করতে হবে না। না হলে ইডি ধরবে, সিবিআই ধরবে, ইনকাম ট্যাক্স ধরবে। তাই নিজেকে বাঁচানোর জন্য আজকে সবচেয়ে বেশি গদ্দারি যে করেছে, সে মেদিনীপুরে জন্ম নিয়েছিল মীরজাফর। তার নাম মুখে বলতে আমার লজ্জা লাগে। আমি বলবও না। তিনি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন তিনি কারও কাছে কিছু নেন নি? তিনি বলতে পারবেন কতজন তার হাত দিয়ে পেয়েছেন? তিনি বলতে পারবেন পুরুলিয়ার লোকেরা রাস্তায় কেন বসেছিল?
কারণ সেই সিটে মেদিনীপুরের কাউকে কাউকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। আমি যখন শুনেছিলাম আমি বললাম ঠিক আছে মেদিনীপুর যখন পেয়েছে ভালো, আমি আপত্তি করছি না। কিন্তু পুরুলিয়ার লোকেদের আমাদের দেখা দরকার। তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমরা চোর বটে। এই ইলেকশনে বুঝে নেব। লোডশেডিং করে ভোট দখল করা, গুন্ডামি করে ভোট দখল করা, টাকা দিয়ে ভোট দখল করা। লোকের চাকরি খেয়ে নেওয়া মনে রাখবেন।”
আরও পড়ুন : ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে এবার অভিনেতা বনাম অভিনেতার লড়াই! জল্পনা তুঙ্গে
আরও পড়ুন : হুটার বাজিয়ে এসকর্ট করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাবে বনদপ্তর, থাকবে কড়া নজরদারি
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Lok Sabha Election
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper