ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বামফ্রন্ট। শুক্রবার সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। এবারে প্রার্থী হিসেবে বয়সে নবীনদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার নির্বাচনের মনোনয়নের প্রথম দিনে ২৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেতারা। সন্ত্রাস না করলে জেলার সমস্ত আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে বলে জানান সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
তিনি বলেন, “প্রার্থী দেওয়াটাই এখন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। প্রার্থী না দেওয়া হলে লড়াই দাঁড়ায় না। আমরা সব আসনেই প্রার্থী দেব বামফ্রন্ট গত ভাবে। যেখানে বামফ্রন্টের শরিকদের বাইরে গণতান্ত্রিক মানুষরা লড়াই করতে চান বিজেপি-তৃণমূল বিরোধী তাদের আমরা সমর্থন করব।” গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএমের একাংশ যোগ দিয়েছিল বিজেপিতে। জঙ্গলমহলে সিপিএম প্রার্থী দিতে হিমশিম খেলেও বহু পঞ্চায়েত দখল করেছিল বিজেপি। তৃণমূলের নেতারা সেইসময় বলেছিলেন, “রাম-বাম মিশে গিয়েছে।
Panchayat Election 2023
সিপিএমের নেতারা লাল জামা পাল্টে গেরুয়া জামা পড়েছে।” তবে সিপিএমের নিচুতলার কর্মী সমর্থকরা যে বিজেপির দিকে গিয়েছিল তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন সুশান্ত ঘোষ। তিনি বলেন, “রাজ্যের শাসক দলের বোঝাপড়া ছিল যে পশ্চিমবাংলা থেকে লাল ঝান্ডাকে উৎখাত করতে হবে। ফলে লাল ঝাণ্ডার মানুষগুলো যাবে কোথায়? যারা রাজ্যের শাসক দলের আক্রমণে, অত্যাচারে জর্জরিত তাদের একটা প্যাসেজ দরকার। সেই প্যাসেজ তো রাজ্যের শাসক দল তৈরি করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন : পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের প্রথম দিন নির্বিঘ্নে কাটল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়, অব্যবস্থার অভিযোগ
আরও পড়ুন : পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক ক্যাম্পাসের পরিত্যক্ত রুমে আগুন, হিমশিম দমকল
যারা গিয়েছিল তারা আবার ফিরে এসেছে এবং আসছে। আসছে বলেই পরিকল্পনা করে সেই গরিব মানুষের মধ্যে ভয়ঙ্কর একটা খেলা খেলছে দিল্লি এবং রাজ্যে শাসক দল। পশ্চিমবাংলায় যা ছিল না। সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া অংশের দুটো সম্প্রদায়ের মধ্যে যে ঘটনা আজকে ঘটছে, এর পেছনে রাজ্য এবং কেন্দ্রের দুই শাসক দল প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদত দিচ্ছে। এর জন্য এরা সরাসরি ভাবে দায়ী।”
তিনি আরও বলেন, “মনোনয়নপত্র যাতে বিরোধীরা দিতে না পারে তার জন্য শাসক দলের আক্রমণ নির্যাতনের পাশাপাশি পুলিশি আক্রমণও ঘটেছিল বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে। এবারে মানুষ যাতে নিজের ভোট নিজে দিতে পারে তার ব্যবস্থা করুক নির্বাচন কমিশন।” পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রতিটি অঞ্চলে নির্বাচনী বৈঠকও করেছে সিপিএম। দল থেকে দুরত্বে থাকা পুরনো এবং তৃণমূল-বিজেপি-তে যাওয়া নেতা-কর্মীদের পুনরায় ময়দানে নামানোর চেষ্টা। তবে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভরাডুবির পর এবারে কতটা সফল হবে বামফ্রন্ট নবীনদের সামনে রেখে, নজর সেদিকেই।
আরও পড়ুন : মেদিনীপুর শহর জুড়ে দফায় দফায় লোডশেডিং, গরমে ভোগান্তি
আরও পড়ুন : আজ জগন্নাথ দেবের পুণ্য স্নানযাত্রা! আর রথ মানেই দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Panchayat Election Nominations
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper