ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক দপ্তরে “জনতার দরবার” শুরু করলেন জেলা শাসক। মানুষের অভাব অভিযোগ শোনার জন্য সরাসরি সব দপ্তরের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে বসেছিলেন দপ্তরে। সেখানেই শতাধিক প্রাক্তন মাওবাদী সদস্য হাজির হলেন চাকরির দাবিতে। জানালেন, “মাওবাদী কার্যকলাপে জড়িত হয়ে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জড়িয়েছি, তবু ঘোষণা মত পুনর্বাসন প্যাকেজের চাকরি পাচ্ছি না। দয়া করে ব্যবস্থা করে দিন।”
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
জঙ্গলমহলে ২০০৯ থেকে ২০১০ পর্যন্ত অশান্তি পর্বে মাওবাদী কার্যকলাপ হয়েছিল। ৪০০র বেশি মানুষ খুন হয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরে। অনেকেই এই মাওবাদী কার্যকলাপে নেমে কিষানজী, শশধরের মতো এনকাউন্টারে মারা পড়েছেন। অনেকেই রাজ্য সরকারের ঘোষণা করা পুনর্বাসন প্যাকেজে আত্মসমর্পণ করেছেন। কয়েক বছর আগে রাজ্য সরকার জানিয়েছিলেন, “মাওবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে যারা জেল খেটেছেন, তাদেরও পুনর্বাসন প্যাকেজে নিয়ে এসে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।”
Janatar Darbar
এমন অনেকেই চাকরি পেয়েছেন, কিন্তু জেল খেটেছেন এমন প্রমাণস্বরূপ কাগজপত্র দেরিতে পাওয়া ও বিভিন্ন জটিলতায় অনেকেই সেই চাকরি আবার পাননি। মঙ্গলবার জেলা শাসকের জনতার দরবারে এমনই শতাধিক শালবনী এলাকার বাসিন্দা হাজির হয়েছিলেন। লিখিতভাবে জেলা শাসকের কাছে তারা জানালেন। “অনেকেই পুনর্বাসন প্যাকেজে চাকরি পেয়েছেন, কিন্তু আমাদের ভেরিফিকেশন হলেও চাকরি আজও পাইনি। দয়া করে ব্যবস্থা করুন।”
আরও পড়ুন : তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেব-এর ভাই বিক্রম অধিকারীর নামে এফআইআর করলেন বিধায়িকা শিউলি সাহা
জেলাশাসক খুরশীদ আলী কাদেরী বলেন, “ওনারা আমাদের কাছে এসেছিলেন। ওনাদের আবেদন আমি পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়েছি। আরো বিভাগীয় যা যা পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেগুলো নেওয়া হচ্ছে।” এদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েকশো মানুষ হাজির হয়েছিলেন “জনতার দরবারে” নিজেদের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে। দুয়ারে সরকার শিবিরে সমাধান না পেয়ে আবেদন করেছেন সরাসরি জেলা শাসকের কাছে।
আরও পড়ুন : মেদিনীপুর শহরে টোটো-বাইক সংঘর্ষে মৃত এক যুবক, আহত আরও এক
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Janatar Darbar
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper