Elephant Attack : হাতির হানায় নিহত পরিবারকে সরকারি ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরির দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় অনেকেই চাকরি পেয়েছেন। তার বাইরেও এখনো অনেকে চাকরি পাননি বলে অভিযোগ। তাতেই ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : https://chat.whatsapp.com/DaQgpKDDIIH7nyDIMgrMFP
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : হাতির হানায় নিহত পরিবারকে সরকারি ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরির দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় অনেকেই চাকরি পেয়েছেন। তার বাইরেও এখনো অনেকে চাকরি পাননি বলে অভিযোগ। তাতেই ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন : নিষিদ্ধ থার্মোকল, শারদোৎসবে হতাশ শিল্পীরা
তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, শরিকি বিবাদের জেরে এখনও অনেকে চাকরি পাননি। যদিও পরে ওই সমস্যা মিটিয়ে শরিকদের কোনো আপত্তি নেই জানিয়ে লিখিত জমা দিয়েছেন। এমনই পরিবারের সদস্যরা সোমবার মেদিনীপুর বনবিভাগের ডিএফও অফিসে হাজির হলেন। এর আগেও তারা একাধিকবার বন দফতরের অফিসে ডেপুটেশন এবং যোগাযোগ করে গিয়েছেন। কিন্তু তারপরও কোন সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন : পশ্চিম মেদিনীপুরে চলন্ত বাসে আগুন, বাসের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আহত ২
Elephant Attack
মেদিনীপুর বন বিভাগের লালগড়, পিড়াকাটা, চাঁদড়া রেঞ্জের পনেরো জন এদিন দুপুরে ডিএফও অফিসে হাজির হলেন চাকরি পাওয়ার প্রক্রিয়া কত দূর এগিয়েছে জানতে। তারা জানান, ৬৪ জন এমন চাকরি প্রার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৪৭ জন চাকরি পেয়েছেন। বাকি ১৭ জন পাননি। ওই ১৭ জনের পরিবারে সেই সময় শরিকি বিবাদ ছিল। একই পরিবারে বাবা অথবা মা মারা যাওয়ার পর দুই ভাই সেই চাকরির দাবিদার।
আরও পড়ুন : পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ চন্দ্রকোনায়, তড়িঘড়ি ব্যবস্থা পুরসভার
তা মেটাতে অনেকটা সময় কেটে যায়। পরে বিবাদ মিটিয়ে ‘নো অবজেকশন’ জানিয়ে বন দফতরে লিখিত জমা দেন। তারপরও দীর্ঘ কয়েক বছর কেটে গেলেও চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত। লালগড়ের লক্ষণপুরের করমচাঁদ মাহাত বলেন, “আমরা দু’ভাই এবং দিদিও রয়েছে। দিদিরা কোন দাবি না করলেও দাদাকে তিন লক্ষ টাকা দিতে হয়েছে ‘নো অবজেকশন’ জানানোর জন্য। সেই টাকা ঋণ করে দিয়েছি।
আরও পড়ুন : পুলিশকে মারধরে ধিক্কার মিছিল তৃণমূলের, পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে বিজেপির বিক্ষোভ মেদিনীপুর সদরে
চাকরি না পেলেও ওই টাকা চাইতেও পারবো না। এইরকম অনেকে জমি বিক্রি করে, ঋণ করে টাকা দিয়ে শরিকি বিবাদ মিটিয়েছে। কিন্তু এখন চাকরি না পাওয়ায় অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে।” এমনই গোলকচকের দীননাথ মাহাত বলেন, “আমার দাদু মারা গিয়েছিল। তারপর শরিকি বিবাদ মেটাতে কয়েকদিন সময় লেগে যায়। পরে বন দফতরে যোগাযোগ করলেও এখনও পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি।”
আরও পড়ুন : চালকের ভুলে মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ডে সরকারি বাসের চাকায় পিষ্ট বাবা ও ছেলে, হাসপাতালে মৃত্যু ছেলের
আরও পড়ুন : চা কেটলি নিয়ে কর্মসংস্থানের পথ দেখানোর পাশাপাশি টাটাদের সঙ্গে খানিকটা দূরত্ব কমালেন মুখ্যমন্ত্রী
তবে সুরাহা না হলে অনশন আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আরেক দাবিদার সুনীল মাহাত বলেন, “মাওবাদী হামলায় নিহত পরিবারগুলিকে বেশ কয়েক দফায় চাকরিতে নিযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু হাতির হানায় মৃতের পরিবারগুলির ক্ষেত্রে এক দফায় নিযুক্ত হয়েছে। দ্বিতীয়বার কোন সুযোগ দেওয়া হয়নি। যাতে দেওয়া হয় তার আবেদন বারবার করে আসছি।”
আরও পড়ুন : পিড়াকাটায় ফুটবল খেলার সময় মাঠে নেমে পড়ল দলমার দাঁতাল, তারপর যা হল
আরও পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের প্রথম দিনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাধিপতি নির্বাচন, পশ্চিমে ভাইরাল অডিও ভিডিও আলোচনা
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Elephant Attack
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper
Web Desk, Biplabi Sabyasachi Online : Chief Minister Mamata Banerjee announced government compensation to the family killed in the elephant attack as well as government job to one of the family members. Similarly, many people got jobs in West Medinipur district. Apart from that, it is alleged that many people have not got jobs yet. That has created anger.
However, it has been seen in many cases that many people have not got jobs due to Shariki disputes. However, after solving the problem, the partners submitted a written submission stating that they have no objection. Such family members appeared at the DFO office of Midnipur Forest Division on Monday. Before this they have deputed and contacted the forest department office several times.
But still no solution has been alleged. Fifteen people from Lalgarh, Pirakata, Chandra ranges of Midnipur Forest Division appeared at the DFO office this afternoon to know how far the process of getting jobs has progressed. They said that there were 64 such job candidates. 47 of them got jobs. The remaining 17 did not get it. The family of those 17 people had a Shariki dispute at that time. In the same family, after the death of father or mother, two brothers claim that job. It takes a lot of time to settle.
After settling the dispute, he gave a written submission to the forest department saying ‘no objection’. Even after many years passed, he was deprived of getting a job. Karamchand Mahat of Laxmanpur in Lalgarh said, “We have two brothers and a sister. Even though the sisters did not make any demands, my grandfather had to pay three lakh rupees to express ‘no objection’. I have given that money as a loan.
Even if I don’t get a job, I can’t ask for that money. Many people like this. Shariki settled the dispute by selling the land and lending money. But now he is spending his days in a state of helplessness because he cannot get a job.”Dinanath Mahat of Golakchak said, “My grandfather died. Then it took a few days to settle the Shariki dispute. Later, we contacted the forest department, but there has been no resolution so far.”
However, he also warned of hunger strike if not addressed. Another claimant, Sunil Mahat, said, “The families killed in the Maoist attack have been appointed to work in several rounds. But the families of those killed in the elephant attack have been appointed in one round. No second chance has been given. I have been requesting for it to be given again and again.”