Paschim Medinipur : সালিশি সভা বসিয়ে এক পরিবারকে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার নিদান দিল গ্রামের মাতব্বররা। মাতব্বরদের ভয়ে ঘরছাড়া পরিবার। ইতি মধ্যে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তে শুরু করেছে পুলিশ। টাকা আদায়ে জোর পূর্বক জমির দলিলের কপি নিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মাতব্বরদের ভয়ে বর্তমানে ঘর ছাড়া ওই পরিবার।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : https://chat.whatsapp.com/DaQgpKDDIIH7nyDIMgrMFP
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : সালিশি সভা বসিয়ে এক পরিবারকে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার নিদান দিল গ্রামের মাতব্বররা। মাতব্বরদের ভয়ে ঘরছাড়া পরিবার। ইতি মধ্যে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তে শুরু করেছে পুলিশ। টাকা আদায়ে জোর পূর্বক জমির দলিলের কপি নিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মাতব্বরদের ভয়ে বর্তমানে ঘর ছাড়া ওই পরিবার।
আরও পড়ুন : পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রকাশ্যে বালি পাচারের অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে
ঘটনার সূত্রপাত গত ৩০ শ জুলাই । অভিযোগ ওই দিন রাত সাড়ে ন’টার পর চাকীরহাটে কাশীনাথ চাকীর শ্রীহরি ডেকোরেটর্সে আগুন লেগে যায়। ক্ষতি হয় অনেকটাই। ঘটনার স্থলে পুলিশ এসেও কিভাবে আগুন লাগলো তা বুঝতে পারেনি। মালিকও বুঝতে পারেনি আগুন লাগার প্রকৃত কারন ।
আরও পড়ুন : পঞ্চায়েতের আগে মেদিনীপুরে জেলা শাসক অভিযান সিপিএমের, পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি
তবে সেদিনই তত্ব খাড়া করেছিলেন গোডাউনের মালিক কাশীনাথ চাকী। এই ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর ৬ আগষ্ট আগুন লেগে যাওয়া ডেকরেটরের মালিক কাশীনাথ চাকী গ্রামের কয়েকজন মাতব্বরদের নিয়ে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা অন্য এক ডেকরেটরের মালিক তারকনাথ আড়িকে নানান অজুহাত দেখিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের পালপাড়ায় সুকুমার মাইতি নামে এক গনককারের কাছে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন : দাঁতনকে পর্যটনস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী জেলা প্রশাসন
সেখানে গনককার তারকনাথবাবু ও তার ছেলে এই আগুন লাগানোর ঘটনায় যুক্ত বলে দাবি করেন সকলের সামনে। তারপরই ক্ষতিপূরণের বিধান দিয়ে তারকনাথ বাবুর পরিবারের উপর নানান চাপ তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ৬ আগষ্ট সন্ধ্যা থেকে তারকনাথ ও তার দুই ছেলে, ৯ মাসের শিশুর মা দিপালীর উপর প্রকাশ্যে জুলুম ও মারধর শুরু হয় বলে অভিযোগ ।
আরও পড়ুন : মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেলেন ১০ জন বন্দি
সন্ধ্যায় তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় একটি জায়গায়। সেখানে একাধিক মানুষের সামনে জোর করে আগুন লাগানোর কথা স্বীকার করানো হয় ও সাদা কাগজে সই করে জমির দলিল কেড়ে নিয়ে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার নিদান দেয় মাতব্বররা।
আরও পড়ুন : “তৃতীয় স্ট্রোকে কোমায় যাবে তৃণমূল”, মেদিনীপুরে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের
Paschim Medinipur
আক্রান্ত পরিবার ওখান থেকেই পুলিশকে জানালে দাসপুর থানার পুলিশ আসে ঘটনার স্থলে। উপরন্ত ওই পরিবারকে মাতব্বররা হুঁশিয়ারি দেয়, পুলিশের কাছে মুখ না খুলতে । এমনকি দোষীদের ঘর বাড়ি সম্পত্তি জোর করে দখল নিয়ে টাকা আদায় নেবে বলেও অভিযোগ ওঠে। আক্রান্ত পরিবারের অভিযোগ দাসপুর থানা এই ঘটনায় কোনও সহযোগোতা করেনি।
আরও পড়ুন : পশ্চিম মেদিনীপুরে বাস দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ, হাসপাতালে হাজির পরিবহন মন্ত্রী
শেষমেশ ৯ আগষ্ট ওই পরিবার ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বেশ কয়েকজন মাতব্বরদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ এই ঘটনায় সংঘর্ষ কোনও আইনি পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ , পরবর্তী কালে এই ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয় বা বাতব্বরার শাস্তি পায় কিনা সেদেকেই তাকিয়ে এলাকার অনেকে।বর্তমানে প্রবল চাপে ভয়ে পরিবারটি প্রাণ রক্ষার দায়ে সবাইকে নিয়ে ঘর ছাড়া।
আরও পড়ুন : ঝাড়গ্রামে স্বস্তি দিয়ে মেদিনীপুর সদরে হাতির পাল, ভাঙল বাড়ি
অন্যদিকে গ্রামের মোড়লরা সালিসি সভার কথা স্বীকার করলেও সেই সময় জোর করে সাদা কাগজে সই করানো এবং মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন। ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নীশ্বর চৌধুরী বলেন” দুই দিনের দুটি ঘটনায় দুই পরিবারের পক্ষ থেকে দুটি অভিযোগ করা হয়েছে, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে, গ্রাম বাসীদের জিঞ্জাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ । আগুন লাগানো, শালিসি সভা ডাকা, এই ঘটনায় যারা জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Paschim Medinipur
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper