The forest department is working to stop hunting in West Midnapore
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : বসন্ত বা প্রাক্ গ্রীষ্মে জঙ্গলমহল জুড়ে আদিবাসী- বনবাসী মানুষদের পুরানো রীতি হিসেবে বন্যপ্রাণী শিকারের রেওয়াজ আজও বর্তমান। সেই শিকার বন্ধে মেদিনীপুর সদর ও শহর জুড়ে পোস্টার দিল বন দফতর। হাজার হাজার বছর আগে গুহায় বসবাসকারী মানুষ তাদের জীবনধারনের জন্য জঙ্গলের লতা পাতা, ফল মূল খাওয়ার পাশাপাশি জঙ্গলে শিকার করে পশু পাখির কাঁচা মাংস খেতে শুরু করে এবং হিংস্র পশুর হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে অস্ত্র হিসেবে গাছের ডাল, এবং পরবর্তীকালে পশু শিকার বা হিংস্র পশুর আক্রমণ থেকে বাঁচতে পাথর ব্যবহার শুরু করে।
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুরে স্কুল-কলেজের দ্বন্দ্বে ভুতুড়ে বাড়ি স্মৃতিবিজড়িত ঋষি রাজনারায়ণ বসুর আবাসন
আরও পড়ুন:- ঝাড়গ্রামে বিজেপির জেলা কার্য্যালয়ে হামলা- কান্ডের খেসারত, বহিষ্কৃত দলের ৪ নেতা
নবপ্রস্তর যুগে মানুষের পশু শিকারের চাহিদা বেড়ে গেল যখন দেখল পোড়া মাংস খেতে বেশ সুস্বাদু। পরে মানুষ চাষাবাদ শিখে খাদ্যের চাহিদা মিটে যাওয়ায় পশু শিকারের বদলে পশুকে পোষ মানাতে লাগল। কিন্তু আধুনিক যুগে খাদ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য কৃষির উন্নতি ঘটলেও ভুলতে পারেনি আদিম পশু শিকারের প্রবৃত্তি। লোহার তৈরি বর্শা, তীর ধনুক, বন্দুক ইত্যাদি অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে অরণ্যের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়ে আজও চলছে শিকার। এখন খাদ্যের অন্বেষণ বা আত্মরক্ষার্থে নয়, নিছক চিত্তবিনোদন, ব্যক্তিগত সক্ষমতা নিরীক্ষা, পারিবারিক ঐতিহ্য বা বাহাদুরী প্রদর্শনী দেখানোর জন্য বন্য পশু শিকার করে ও বাড়ির দেওয়ালে বন্য পশুর মাথা, চামড়া ট্রফি হিসেবে রাখে।
West Midnapore
আরও পড়ুন:- ডেবরায় কিশোরী ‘খুন’, মেদিনীপুরে জেলা শাসক দফতরে বিক্ষোভ
আরও পড়ুন:- নেই জেলা ও শহর সভাপতি, মেদিনীপুরে তৃণমূলের মিছিলে নেতৃত্ব সৌমেনের
আধুনিক যুগে সভ্য মানুষ পরিবর্তন করতে পারেনি এই আদিম প্রবৃত্তি। বন্য পশু পাখি হত্যায় ভারতীয় সাংবিধানিক আইনানুযায়ী শাস্তির ফরমান থাকলেও বন্ধ হয়নি শিকার। এখনও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কখনও চোরাগোপ্তা আবার কখনও প্রকাশ্যে সংঘবদ্ধভাবে চলছে বন্যপ্রাণী শিকার। জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে মেদিনীপুর সদর, শালবনীতেও চলে শিকার উৎসব। বন দফতর থেকে শিকারে যাওয়া আটকানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন:- কল করতে গিয়ে ব্লাস্ট মোবাইল! প্রাণে বাঁচলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের যুবক
তাতেও ফাঁক গলে জঙ্গলে প্রবেশ করে শিকারিরা। শিকার উৎসবের আগেই মেদিনীপুর বনবিভাগের দফতর থেকে শিকারে না যাওয়া ও জঙ্গলে আগুন না লাগানোর বার্তা দিয়ে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন সহ গ্রামীণ এলাকাতেও লাগালো হল ব্যানার, পোস্টার। বাংলার পাশাপাশি সাঁওতালীতেও লেখা হয়েছে পোস্টার। পোস্টারে লেখা আছে, “বন ও বন্যপ্রাণী আমাদের জাতীয় সম্পদ। একে রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। বনপ্রাণ ধ্বংসের অর্থ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।” বেআইনি কাজে রেল ব্যবহার করাও দণ্ডনীয় অপরাধ বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর মেডিক্যালের মর্গে দেহ নিতে গেলে টাকার দাবি কর্মীদের, উত্তেজনা
পোস্টারের মাধ্যমে বন দফতর থেকে আবেদন জানানো হয়েছে, বন্যপ্রাণী হত্যা করবেন না এবং জঙ্গলে আগুন লাগাবেন না। পাশাপাশি বন্যপ্রাণ হত্যা ও আগুন লাগালে আইন অনুযায়ী কি শাস্তি হতে পারে, তাও উল্লেখ আছে পোস্টারে। এও বলা আছে, শিকার কার্যে ব্যবহৃত যানবাহন, মোটর সাইকেল, অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হবে। মেদিনীপুর রেঞ্জের আধিকারিক পাপন মহান্ত জানান, মানুষজনকে মাইকিং করে সচেতন করার পাশাপাশি শিকার না করার বার্তা দিয়ে মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার পোস্টার লাগানো হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত, বিডিও সহ রেল দপ্তর ও পুলিশকেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:- পশ্চিম মেদিনীপুরে তরুনীকে ‘ধর্ষণের পর খুন’, আটক ৩, ভাড়াটিয়া রাজমিস্ত্রীকে খুঁজছে পুলিশ
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
West Midnapore
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore