আরও পড়ুন ঃ– সরকারী প্রকল্পের সুবিধা পেতে ব্যাঙ্কিং জটিলতা কাটাতে মেদিনীপুরে বৈঠক চার মন্ত্রীর
পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে শুরু এবার ‘দুয়ারে পুলিশ’ কর্মসূচি
students
পত্রিকা প্রতিনিধি: জঙ্গলমহলের উন্নয়নে যখন একাধিক প্রকল্প নিচ্ছে রাজ্য সরকার ঠিক সেইসময় কোভিড পরিস্থিতিতেও (Covid Situation)ভর্তি ফি-র নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ বিদ্যালয়গুলির বিরুদ্ধে। আলো না জ্বললেও, পাখা না চললেও নেওয়া হচ্ছে ফি, খেলাধূলা সহ উন্নয়ন ফি-র নামেও টাকা আদায় করার অভিযোগ। এর প্রতিবাদে ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে মঙ্গলবার মেদিনীপুর সদর ব্লকের(Medinipur Sadar Block) চাঁদড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে (Chandra Higer secondary School)বিক্ষোভ দেখাল ছাত্রীরা। তাদের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে পরিবারে আর্থিক অনটন রয়েছে। ফলে ৬১০ এবং ৭১০ (নিউট্রেশন থাকলে) টাকা ফি দেওয়া সম্ভব নয়। ফি কমানোর দাবি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোন সুরাহা করেনি। বাধ্য হয়েই বিক্ষোভ দেখাতে হয়।
students
সোমবার থেকে চাঁদড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণীর ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ছাত্ররা ভর্তি হলেও মঙ্গলবার ছাত্রীরা ওই টাকা দিয়ে ভর্তি হতে অস্বীকার করে। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখায় তারা। ছাত্রীদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক পরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিলেও পরিচালন সমিতির সদস্য ও তৃণমূলের লোকজন বিদ্যালয়ে ঢুকে ভর্তি হতে ‘হুমকি’ দেয়। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ফোন করলেও যোগাযোগ করা যায় নি। পরিচালন সমিতির এক সদস্য হুমকির অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয় তারা আবেদন করলে বিবেচনা করা হবে।
বিনামূল্যে রেশন, মাসে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে টাকা সহ একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প রাজ্য সরকার নিচ্ছে জঙ্গলমহলবাসীর জন্য। অথচ বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও ভর্তি মুকুবের পরিবর্তে উন্নয়ন ফি-র নামে টাকা আদায় করছে কেন বিদ্যালয়গুলি তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, তাহলে কি সরকার বিদ্যালয়গুলির উন্নয়নে টাকা দেয় না? পড়ুয়াদের টাকায় বিদ্যালয় চলে? অতিরিক্ত টাকা আদায়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন বিদ্যালয়গুলির বিরুদ্ধে? ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও-র (AIDSO)পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschik Medinipur) জেলা সম্পাদক ব্রতীন দাস(Bratin Das) বলেন, আমরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি, করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজের ভর্তি ফি সম্পূর্ণ মুকুব করতে হবে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে অভিযোগ জানিয়েছি বিদ্যালয়গুলি উন্নয়ন ফি-র নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। মেদিনীপুর সদর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নয়ন দে (Nayan Dey)জানান, ভর্তি ফি-র বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
students
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore