Elephant Attack
আরও পড়ুন ঃ-সৌধের রক্ষণাবেক্ষণে নির্বিকার পুরসভা! অহংকারের জাতীয় পতাকার দাবিতে পথে নামবে ‘দ্য ভয়েস অব মিদনাপুর’
পত্রিকা প্রতিনিধি: কৃষি জমি থেকে বাড়ি ফেরার পথে হাতির হানায় (Elephant Attack) জখম হলেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি শনিবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুর (PaschimMedinipur) জেলার গুড়গুড়িপাল (Gurguripal)থানার চাঁপাশোলে (Chapasole)। যখম ব্যক্তির নাম মধুসূদন মাহাতো (Madhusudan Mahata)(৬৫)।
স্থানীয়রা জানান, জঙ্গলের ভেতরে কৃষি জমি রয়েছে। ওই জমিতে ধান রোয়ার কাজ চলছে। মধুসূদন বাবু ও তার স্ত্রী দুজনেই ধান রোয়ার কাজ সেরে বিকেলে জঙ্গল পথ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় জঙ্গলে একটি হাতির সম্মুখে পড়ে যান তারা। রাস্তা ধরে স্ত্রী দৌড়ে পালিয়ে যান। কিন্তু মধুসূদন বাবু জঙ্গল পথ দিয়ে পালাতে গেলে হাতি শুঁড়ে ধরে ফেলে সেখানেই আছাড় মারে। দুটো পায়ে গুরুতর আঘাত পান বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় দেপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসেন। পরে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (Medinipur Medical College And Hospital) স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। হাতিটিকে অন্যত্র সরানোর চেষ্টা করছেন বনকর্মীরা। এদিন পুলিশের গাড়ি সিগন্যাল দিয়ে রাস্তা ফাঁকা করে। কার্যত ‘গ্রীন করিডর’ করে ২০ কিলোমিটার রাস্তা ১০ মিনিটে মেদিনীপুর হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। সামনে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশের (Gurguripal Police) গাড়ি, মাঝে রোগীর গাড়ি, পেছনে বন দফতরের। এভাবেই মেদিনীপুর হাসপাতালে পৌঁছায় জখম মধুসূদন বাবু।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাস্তার মোড়ে থাকা বিভিন্ন পুলিশ কর্মী (Police) ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteer)ও ফোনে রাস্তা ফাঁকা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে পুলিশের এমন ভূমিকা এর আগে দেখে নি কেউ। বিশেষ করে বন দফতরের কাজে। এক বনকর্মী মানছেন, এর আগে পুলিশের এত স্বতস্ফূর্ততা আগে দেখা যায় নি। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘মানুষের বিপদ হয়েছে ফলে তাঁকে সাহায্য করা হয়েছে।’ সম্প্রতি বন দফতর (Forest Department)ও পুলিশ (Police)যৌথ ভাবে শিকার বন্ধে অভিযান ও সামাজিক কাজকর্মও করেছে। পুলিশ ও বন দফতর যৌথ কাজে খুশি স্থানীয়রা।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Elephant Attack
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore