আরও পড়ুন ঃ–মমতার মুখে মানসম্মান-সংবিধানের কথা মানায় না কটাক্ষ দিলীপের
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ ‘যশ'(Yass) ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) ৫ দিনের মাথায় পূর্ব মেদিনীপুর(East Medinipur) জেলায় বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা (Electricity service) স্বাভাবিক হল। তবে এখনও বহু জায়গায় জল জমে থাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বিপুল ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও বিদ্যুৎ পরিষেবা(Electricity service) দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য ঘূর্ণিঝড়ের(Cyclone) থেমে যাওয়ার পর থেকেই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন বণ্টন সংস্থার কর্মকর্তা থেকে ঠিকাদার নিযুক্ত শ্রমিকরা।
ধাপে ধাপে বিভিন্ন জায়গায় পরিষেবা স্বাভাবিক করে তোলা হয়। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর(Chief Minister) দীঘায়(Digha) সাইক্লোনের(Cyclone) ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বৈঠকের আগে ১০০ শতাংশ জায়গায় পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনকে রিপোর্ট দেন বণ্টন সংস্থার রিজিওনাল ম্যানেজার। শনিবার আরও বেশকিছু জায়গায় পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়। উপকূলবর্তী কিছু এলাকা বাদে জেলায় প্রায় সর্বত্র বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ২০মে উম-পুন সুপার সাইক্লোনের পর জেলায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হতে এক মাস সময় লেগেছিল। তবে, সেবার আরও বড় বিপর্যয় হয়েছিল। গতবারের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে এবার সাইক্লোন মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়েছিল বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। এজন্য গোটা জেলায় মোট ১০৬০ কর্মী মোতায়েন করা হয়। শুধু তাই নয়, আগেভাগে প্রতিটি সাপ্লাই স্টেশনকে ৭০টি করে ইলেক্ট্রিক খুঁটি দেওয়া হয়েছিল। আগাম সরঞ্জাম এবং কর্মীদের মজুত রাখার কারণেই অনেক দ্রুত বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা গিয়েছে বলে বণ্টন সংস্থার কর্মীরা দাবি করছেন।
পর্যটন কেন্দ্র তাজপুর(Tajpur) আর শঙ্করপুরের (Sankarpur) মাঝে ট্যাংরামারি(Tengramari), বোধড়া(Bodhra), যশিপুর(jashipur), চাঁদপুর(Chandpur) গ্রাম এখনও জলের তলায়। ইতিমধ্যে একাধিক কাঁচামাটির বাড়ি ইতিমধ্যে ধসে গিয়েছে। পাশাপাশি সেখার ইলেক্ট্রিক(Electric) খুঁটি গুলি পড়ে গিয়েছে। ওই এলাকায় জল না নামার কারণে সেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার কাজ করা যায়নি। এছাড়া খেজুরির(Khajuri) অন্যান্য জায়গায় পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। তবে রামনগর(Ramnagar)-১ ও ২ ব্লকের উপকূল এলাকা এবং দেশপ্রাণ(Deshapran) ব্লকের উপকূলবর্তী কিছু জায়গায় পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। যেমন, রামনগর(Ramnagar)-১ ব্লকের অন্তর্গত তালগাছাড়ি(Talgachari)-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শঙ্করপুর(Sankrpur) এলাকা ছাড়া অন্যত্র পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। কারণ, বহু এলাকা এখনও জলমগ্ন।
এবিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, বেশিরভাগ এলাকা এখনও জলমগ্ন। তাই বিদ্যুৎ পরিষেবা (Electricity service) স্বাভাবিক হয়নি। পানীয় জলের সমস্যাও হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এখন পযর্ন্ত বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা (Electricity service) স্বাভাবিক হয়েছে। তবে বেশকিছু জায়গায় ইতিমধ্যে কাজ চলছে। দু’-একদিনের মধ্যেই সর্বত্র পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Electricity
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore