cyclone yaas
আরও পড়ুন ঃ-শ্রমিক দ্বন্দ্বে উৎপাদন ব্যহৃত, সমস্যা হলদিয়া আইওসি-তে
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ আয়লা, আর আমফানের স্মৃতি এখনও টাটকা। ঝড়ের তাণ্ডবে উড়ে গিয়েছিল ঘরবাড়ি, জলের তলায় চলে গিয়েছিল চাষের জমি। রাতারাতি জীবন হয়ে উঠেছিল দুঃস্বপ্নের মতো। তাই যেদিন থেকে ফের ঘূর্ণিঝড়ের আভাস পেয়েছিলেন তাঁরা, শিউরে উঠেছিলেন। আবারও আমফানের মতো হবে না তো! যশের ধ্বংসলীলার গ্রাসে সব চলে যাবে না তো! একই প্রশ্ন ছিল শহর, শহরতলি বা জেলার মানুষজনেরও। আর এই পরিস্থিতিতে ফের প্রবল শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার দিকে এগোচ্ছে নিম্নচাপ। বুধবার ভোরেই ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটারের বেশি গতিবেগ নিয়ে দিঘা-বালেশ্বরের মধ্যে আছড়ে পড়বে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ বা ‘ইয়াস’ (Yaas)। তবে এই পূর্ণিমার ভরা কোটাল সঙ্গী হওয়ায়, সমুদ্রের ঢেউয়ের দানবাকৃতি রূপের প্রকাশ ঘটছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে দিঘা থেকে ৪৫০ কিলোমিটার এবং ওড়িশার বালাশোর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে নিম্নচাপ। দুপুরের মধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। সন্ধের পরই তা অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ইতিমধ্যে যদিও তার প্রভাব পড়তে শুরু হয়েছে দিঘায়। মঙ্গলবার বেলা বাড়তেই দিঘা উপকূলে চলছে প্রবল জলোচ্ছ্বাস। ইতিমধ্যে সমুদ্রের জল গাড়ওয়াল টপকে রাস্তায় চলে আসতে শুরু করেছে।
তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। দিঘা বরাবর উপকূলবর্তী পাশের এলাকাগুলিতে তাণ্ডবলীলা চালাতে পারে ‘যশ’। সমতলে আছড়ে পড়ার পর এর গতিপথ হতে চলেছে ঝাড়খণ্ডের দিকে। তবে তার আগেই উপকূলীয় জেলাগুলিতে প্রভাব রেখে যাবে ঘূর্ণিঝড়টি। এর আগে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফানেও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই এবার দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম অনেকটা প্রস্তুতি সেরে রেখেছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি পাশ্ববর্তী জেলাগুলিতেও লাল সতর্কতা জারি হয়েছে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
cyclone yaas
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore