পত্রিকা প্রতিনিধি : দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ রাজ্যেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।একের পর এক ট্রেনে-বাসে পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরছেন।আক্রান্তের সংখ্যার অধিকাংশই বাইরের রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক।বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, দিল্লি থেকে রাজ্যে ফেরা শ্রমিকদের দেহেই পাওয়া গিয়েছে করোনার জীবাণু ।নতুন করে বহু জেলায় করোনার সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। এমতাবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পৌর এলাকার করোনা রোগীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় তাদের চিকিৎসার জন্য কাঁথি আয়ুর্বেদ কলেজে শুক্রবারই চালু হল শহরের দ্বিতীয় করোনা হাসপাতাল।বৃহস্পতিবার বিকেলে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ সব্যসাচী চক্রবর্তী আয়ুর্বেদ কলেজ পরিদর্শনের পর মহকুমা শাসক শুভময় ভট্টাচার্যের সাথে আলোচনার পর এ তথ্য জানান। হাসপাতাল সুপার জানান , এ কদিনে কাঁথি পৌরসভা এলাকায় করোনা পজিটিভ এর সংখ্যা একশো ছাড়িয়েছে। তাদের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে আয়ুর্বেদ কলেজে নতুন করে বেড সাজানো হল।
এখানে একসঙ্গে একশ জন রোগী র চিকিৎসা করা যাবে।প্রসঙ্গ টেনে সব্যসাচী বাবু বলেন, এর আগে শহরের সঞ্জীবন হাসপাতালে প্রথম করোনা রোগীদের জন্য কোভিড হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। এখানে পঞ্চাশ জনের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু করোনা রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকায় আয়ুর্বেদ কলেজে চিকিৎসা র ব্যবস্থা করল স্বাস্থ্য দপ্তর।
কাঁথি হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা এখানে রোগীদের চিকিৎসা করবেন। আয়ুর্বেদ কলেজ পরিচালন কমিটির সদস্য সুকমল মাইতি জানান , বর্তমান পরিস্থিতি র কথা ভাবনাচিন্তা করে এখানে জরুরী ভিত্তিতে করোনা হাসপাতাল চালু করা হচ্ছে।তবে এর আগে করোনা রোগী চিকিৎসা জন্য পাঁশকুড়া বড়মা করোনা হাসপাতাল ও চণ্ডীপুরে আইসোলেশন হাসপাতাল রয়েছে। কাঁথিতে দ্বিতীয় করোনা হলে পরবর্তীকালে এখানে রোগীকে রেখে চিকিৎসা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।