পত্রিকা প্রতিনিধি: আশঙ্কা ছিল, সেই আশঙ্কা কে সত্যিই প্রমাণিত করেই রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের তিন প্রশিক্ষণরত জওয়ানের শরীরে মিলল করোনার জীবাণু । গত ১০ জুলাই খড়্গপুরের ই এফ আর ক্যাম্পে অবস্থিত স্পেশাল ট্রেনিং সিকিউরিটির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১ জওয়ানের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ ধরা পড়ে। সালুয়ার ওই ক্যাম্পে ৪০০ জনের দলটি ৪০ জন করে এক একটি ক্যাম্পে থাকেন। গত শনিবার থেকেই ৪০০ জনের ধাপে ধাপে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয় করোনা পরীক্ষার জন্য। বিশেষ সূত্রের খবর, ক্যাম্পের মধ্যে থাকা ২০ জনের উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। তাই ১১ জুলাই সকাল থেকেই তাঁদের লালারস পরীক্ষার জন্য হিড়িক লেগে যায় খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে । গতকাল ৬০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জওয়ান লালারস পরীক্ষা করিয়েছিলেন, তারমধ্যে ৩ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ।
অপরদিকে খড়গপুরে হু হু করে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসল পুলিশ প্রশাসন। আজ বিকেল ৫ টা বাজতে না বাজতেই রেলশহরের বাজারগুলির দোকানের ঝাঁপ নামিয়ে দিল খড়্গপুর পুলিশ। ঠিক এমন চিত্রটাই দেখা গেল গোলবাজার, ইন্দা সহ রেলশহরের বাজারগুলিতে। এই নিয়ে রেলশহরের ব্যবসায়ীদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক অভিজাত ব্যবসায়ী জানান, গত ৩ মাস লকডাউনের ফলে ব্যবসায়ে অনেক বড়ো মাপের ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো সমস্ত দোকান, বাজার ও হাট সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। তবে খড়্গপুর পুলিশ সেই নিয়ম পালন করছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্নমহলে। খড়গপুরের বিধায়ক প্রদীপ সরকার জানান, ‘মাত্রাতিরিক্ত করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ায় এবং শহরের অধিকাংশ মানুষই সামাজিক দূরত্ব না মানায় বিকেল ৫ টার মধ্যেই রেলশহরের বড়ো বাজারগুলিকে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এছাড়াও বাজারগুলিতে অযথা ভিড় করে মানুষ জটলা করছেন তাই প্রশাসনকে বাধ্য হয়ে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।’