পত্রিকা প্রতিনিধি: আমফান ক্ষতিপূরণ নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি, বিরোধী রাজনৈতিক দল বারবার অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আমফান ক্ষতিপূরণের দুর্নীতি নিয়ে। রাজ্যে একাধিক পঞ্চায়েত ও পৌরসভায় পাকা বাড়ি প্রাপকদের আমফান ক্ষতিপূরণের লিস্টে নাম থাকার অভিযোগ উঠে এসেছে। এবার বাড়ি না থেকেও আমফান ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষীরপাই পৌর এলাকায় দুই নম্বর ওয়ার্ডে। আর সেই আমফান নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিপিএম, বিজেপি নেমে পড়েছে আন্দোলনে। সিপিএম -বিজেপির অভিযোগ ক্ষীরপাই পৌরসভার বর্তমান পৌরপ্রশাসক দূর্গাশঙ্কর পান নিজের প্রভাব খাটিয়ে বাড়ির এক পরিচালিকা নামে আমফান ক্ষতিপূরণে টাকা পাইয়ে দিয়েছেন।
ওই পরিচালকের নাম দুর্গারানী ভূঁইয়া। অভিযোগ দুর্গারানী ভূঁইয়া ক্ষীরপাই পৌরসভার প্রশাসক দূর্গাশঙ্কর পানের বাড়িতে ৪০ বছর ধরে কাজ করছেন, ক্ষীরপাই পৌর এলাকায় তার নিজস্ব কোনো বাড়ি নেই, তবুও তিনি পাচ্ছেন টাকা। কারণ তিনি দূর্গাসংকর পানের পুরনো ভাঙ্গা বাড়িতেই থাকেন ।কিভাবে ক্ষতিপূরণের লিস্ট তার নাম আসলো তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। এবিষয়ে এলাকার সিপিএম নেতা ব্রজগোপাল ঘোষের অভিযোগ, আমফান নিয়ে বারবার আমরা আন্দোলন করেছি আর টি আই করার পরে তথ্য আসতেই আজ তা প্রমাণিত,ক্ষীরপাই পৌরসভার পৌর প্রশাসক সঠিক মানুষকে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে তার মনের মত লোককে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে।
বিজেপি নেতা,সুশান্ত মণ্ডল, বলেন”তৃণমূল এর চরিত্র আজ সকলের সামনে প্রকাশ পেয়েছে তারা সাধারণ মানুষের টাকা নিয়ে নিজেদের পকেটে ভরছে, আমরা চাই অবিলম্বে সঠিক ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ দের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। অপরদিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুজয় পত্র বলেন,আমফান নিয়ে বিরোধী রাজনীতি করছে সঠিক মানুষকেই ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে কোনো দুর্নীতি হয়নি।
ক্ষীরপাই পৌরসভার প্রশাসক দূর্গাশঙ্কর পান বিষয়টি স্বীকার করেছেন তিনি জানিয়েছেন তারই একটি ভাঙ্গা বাড়িতে থাকেন দুর্গাদেবী, সেই বাড়ি ক্ষতি হয়েছে, সেই বাড়ি মেরামতির জন্যই দুর্গা দেবীর নাম জমা দেওয়া হয়েছিল। এখন প্রশ্ন উঠছে যে পৌর এলাকায় কোনো বাড়ি না থেকেও কিভাবে দুর্গা দেবীর নামে আফফান ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দেওয়া হলো। বুধবার দুপুরে ক্ষীরপাই পৌরসভা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা । আমফান তালিকায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তারা। রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও অনেকেই আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন তারা। দুর্গাদেবী নিজেও স্বীকার করেছেন তিনি দীর্ঘদিন ক্ষীরপাই পৌরসভার পৌর প্রশাসকের বাড়িতে কাজ করেন তার নিজস্ব কোনো বাড়ি নেই ক্ষীরপায়ে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।