পত্রিকা প্রতিনিধি : তিনদিনের কর্মসূচিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সফরে দিলিপ ঘোষ।প্রথমে কেশিয়াড়ি থানার খাজরা তে গৃহ সম্পর্ক কর্মসূচিতে যোগ দেন দিলিপ ঘোষ। শনিবার সকালে খাজরা ২ নং অঞ্চলের আমগেড়িয়াতে বেশ কয়েকটি বাড়িতে মোদির চিঠি নিয়ে যান।পরে ওই এলাকায় প্রায় সাতজন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন।তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলিপ ঘোষ।
পরে কেশিয়াড়িতে ভারত সরকারের অধীনস্থ রাষ্ট্রীয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসালয়ের প্রথমবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান দিলিপ ঘোষ।কথা বলেন ডাক্তারদের সাথে।ডাক্তারদের সংখ্যা বাড়ানোর আবেদন জানায় সাংসদ দিলিপ ঘোষের কাছে।জম্মু কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হয়েছেন সবং এর জওয়ান।তার প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন দিলিপ ঘোষ।দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।তার প্রসঙ্গে দিলিপ বলেন-“পজিটিভ না নেগেটিভ তা দরকার বলছে।আর তৃণমূল দলের লোক করোনা ছড়াচ্ছে।বার বার তার নাম আসছে।আগেও ভাইস চেয়ারম্যানের নাম এসেছে।দুদিনে কি করে রিপোর্ট হয়ে গেল তা জানিনা।দশ দিনেও কোথাও রিপোর্ট আসছে না।যেভাবে তৃণমূল নেতা এমএলএ কাউন্সিলার লোকেদের সাথে মিশছে তাতে ছড়াবার ভয় বেশি।”
এলাকায় এলাকায় জন সংযোগের কর্মসূচিতে গিয়ে মানুষের অভাব-অভিযোগ দাবি দাওয়া শোনেন দিলিপ ঘোষ।রাজ্যের সরকার কে কটাক্ষ করে বলেন-“কেন্দ্র সরকার চাল ডাল আটা পাঠিয়ে দিচ্ছে আর যদি এখান থেকে মানুষের মধ্যে তা দিতে না পরে কি করে সমস্যার সমাধান হবে?”
পঞ্চায়েত ভোটের প্রায় দুবছর হতে চলল এখনও গঠন হয়নি কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি।সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন-“ওরা বিরোধীদের কোন সুযোগ দেয়নি।এক ভোট করতে দেয়নি।ভোট হওয়ার পর জোর করে জেতা লোকের সার্টিফিকেট ছিনিয়ে নিয়েছেন।আর মেজরিটি পাওয়ার পরেও দুবছর হয়ে গেল বোর্ড করতে দেওয়া হচ্ছে না।”
অর্থাৎ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কার্যত রাজ্য সরকারের তুলোধনা দিলিপের।পরে কেশিয়াড়ি থানার কলাবনীতে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন তিনি।বৈঠকের পর দাঁতনের সাউরিতে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি।