পত্রিকা প্রতিনিধি:উমপুনের তাণ্ডবে হলদিয়ার শিল্প কারখানার প্রায় ১৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিল হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে। ক্ষুদ্র মাঝারি থেকে বড় সমস্ত শিল্প সংস্থায় ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে কোথাও কারখানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে কোথাও যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য বন্ধ হয়েছে কারখানার উৎপাদন। কোথাও কারখানার বিশাল সেট দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। বিভিন্ন কারখানার সোলার বিদ্যুৎ স্টেশনগুলো অকেজো হয়ে গিয়েছে। পেট্রোল রাসায়ন কারখানার চারপাশে দূষণ রোধ করতে কৃত্রিম বনাঞ্চল কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সোলার বিদ্যুৎ স্টেশনগুলো দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। বিভিন্ন সংস্থার আবাসন এইচডি দেওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে তথ্য জানিয়েছেন শিল্প সংস্থা গুলি, কারখানা থেকে শুরু করে কৃত্রিম বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
পেট্রোকেমিক্যাল, আই ও সি, এম সিপিআই (মিৎস্যুবিশি), হলদিয়া এনার্জি আদানী ভোজ্য তেল, রেনুকা সুগার, হলদিয়া রিফাইনারি, হলদি কেমিক্যাল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি শিল্প সংস্থা গুলি। হলদিয়া এইচডি এর কাছ থেকে ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থার গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে হলদিয়া বিভিন্ন জায়গায় ছোট্ট-ছোট্ট প্রকল্প শুরু হয়েছিল। হলদি কেমিক্যাল তার অন্যতম। হলদিয়া ডেভলপমেন্ট অথরিটির কাছ থেকে। প্রায় সাড়ে সাড়ে তেরো একর জায়গা নিয়ে তাদের প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু শুরু হওয়ার আগেই আম্ফানের ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। হলদি কেমিক্যালসের উদ্যোগপতি সেখ মজাফফর বলেন , ‘আমরা এইচডি এর কাছ থেকে জায়গা নিয়েছিলাম। এই প্রজেক্ট শুরুতেই আমরা ব্যাংক লোন প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম ।আমাদের বড় কারখানার সেট বানানো হচ্ছিল। কিন্তু এই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে মূলত উৎপাদন হওয়ার কথা ছিল জুট ব্যাগ যুম্বা ব্যাগ কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ে প্রজেক্ট শুরু হওয়ার আগেই তা ধুলিস্মাৎ হয়ে গেল ইতিমধ্যে এইচডি ইও এবং রাজ্যের পরিবহন ও পরিবেশ মন্ত্রী এবং হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী এবং তমলুক লোকসভার সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী কে আমরা জানিয়েছি এই প্রজেক্ট এর একটি ক্ষয়ক্ষতি রিপোর্টেও আমরা জমা দিয়েছি।’