ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে প্রভাব পড়েছে ‘দানা’র। জেলার বিভিন্ন স্থানে ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪২০ টি বাড়ি। কোনো প্রাণহানীর ঘটনা না ঘটলেও বিষয়টি এলার্মিং বলেই মনে করছে প্রশাসন। শুক্রবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক বর্ষণ। বহু জায়গাতে গাছ, বিদ্যুতের খুটি উপড়ে পড়েছে।
বর্ষণের জেরে মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। তবে কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ টি স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছিল। সেখানে গিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা পরিস্থিতির স্বাভাবিক করেছে। গাছ পড়ে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল ২৫ টি স্থানে। কুইক রেসপন্স টিম সেখানে পৌঁছে সেগুলি পরিষ্কার করেছে। মাটির বাড়ি ভেঙেছে ৩১৮ টি। পাকার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আংশিকভাবে ১০২ টি।
তেত্রিশ হাজারের বেশি মানুষকে বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। মেদিনীপুর শহরেও বর্ষণের প্রভাবে গাছ পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে নজরগঞ্জ এলাকায়। পৌরসভার কুইক রেসপন্স টিম গিয়ে সেই গাছ কেটে সরিয়েছে। সকাল থেকেই জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকরা নজরদারি শুরু করেছেন। গত দু’দিনে কেশপুরে দুটি জায়গায় বড় মাটির বাড়ি ভেঙে বিপত্তি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কেশপুরের করঙ্গাপোতা এলাকায় নিজের মাটি বাড়ি ভেঙে চাপা পড়ে আহত হয়েছেন বাচ্চু ঘোষ নামে এক ব্যক্তি।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মেদিনীপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে কটকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় পরিবারের লোকেরা। শুক্রবার বেলা এগারোটা নাগাদ কেশপুরের ধান্যগেড়া এলাকায় পুরনো পরিত্যক্ত মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে পাশের পাকা বাড়িতে। অল্প রক্ষা পেয়েছেন অনেকে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকা বাড়ি। জেলায় বহু মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আগেই। তবে বর্ষণ বাড়লে ক্ষতি বাড়বে বলে মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারাও।