ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : স্বামীর বাড়ির সামনে টানা ১৩ ঘন্টা ধর্ণার পর পুনরায় বিয়ের পিড়িতে চারহাত এক হল মোনালিসা-বিবেকের। বিয়ে হলেও পরে যোগাযোগ রাখছিলেন না স্বামী,স্ত্রীকে ছেড়ে নিজের বাড়িতে চলে এসেছিলেন ।তাই স্ত্রী-এর অধিকার পেতে দিল্লি থেকে ঘাটালের কুঠিঘাটে এসে মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে স্বামীর বাড়ির সামনে ধর্ণা দিয়েছিলেন গৃহবধূ।
ঘাটালের কুঠিঘাটের বিবেক ভুঁইয়ার সাথে ম্যাট্রিমণিয়াল সাইটে আলাপ হয় দিল্লিতে কর্মরতা উত্তর ২৪ পরগণার জগদ্দল থানার শ্যামনগরের তরুণী মোনালিসা জয়ধরের।রেজিস্ট্রির আবেদন করেও আর রেজিস্ট্রি বিয়ে করা হয়নি।ঘাটালের মন্দিরে বিয়ে হয় মোনালিসা বিবেকের।মোনালিসা দিল্লিতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত থাকায় সেখানে বিবেকের নিত্য যাতায়াত ছিল।হঠাৎ বিবেক এই সম্পর্ক অস্বীকার করে এবং তাকে পাত্তা দিচ্ছিলেন না এমনটাই দাবি মোনালিসার।
মোনালিসা দিল্লি থেকে ৮ নভেম্বর কুঠিঘাটে তার স্বামী বিবেক ভূঁইয়ার বাড়িতে এসে ধর্নায় বসেন। স্বামীর কাছে ফিরতে চেয়ে তার সাথে সংসার করার দাবি নিয়েই সকাল থেকে ধর্নায় বসেন মোনালিসা।এদিকে ধর্নায় বসার খবর কানাকানি হতেই বিবেকের পরিবার বেপাত্তা।খবর যায় পুলিশ প্রশাসনের কাছে।যাবতীয় বিবাহিত জীবনের ছবি সহ প্রমান নিয়ে ধর্ণায় বসেছিলেন মোনালিসা।শয়ে শয়ে গ্রামবাসীরা পাশে থেকে সমর্থন করেন তাদের গ্রামের বধূকে।রাত এগারোটার সময় ঘাটাল থানার ওসি সহ পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে।
আসেন বিবেকের পরিবার।তারাও বাড়ির বৌমা’কে বাড়িতে ফেরাতে চান।গ্রামবাসীরা অনড়,তারা সবার সামনে বিয়ে দিয়ে তবেই মোনালিসাকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠাবেন বলে দাবি করে বসে।গ্রামের কালীমন্দিরে শয়ে শয়ে গ্রামবাসীদের সামনে মালাবদল সিঁদুরদান করে বিয়ে হল বিবেক- মোনালিসার।শেষমেশ মোনালিসাকে তাদের বাড়িতে তুলে নেন বিবেক ও তার বাবা-মা।আর এতেই মুখে চওড়া হাসি ফিরলো টানা ৯ ঘন্টা স্বামীর বাড়ির সামনে ধরনায় বসা মোনালিসা জয়ধরের।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Marriage
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali