ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : ১৩ বছর বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল এক নাবালিকা। অভিযোগ ছিল এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে। পাড়ার মোড়লরা এবং শাসক দলের নেতারা ওই যুবককে দায় স্বীকার করে বিয়ে করতে বাধ্য করায়। কিন্তু নাবালিকার গর্ভে থাকা সন্তান তার নয় বলেই দাবি যুবকের। জোর করে মুচলেকা লিখিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য করানোর জন্য রাতেই বাড়ি ছাড়েন ওই যুবক।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
ঘটনাটি ২০১৭ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর এলাকায়। ওই এলাকায় ১৩ বছরের নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বার দায় বর্তে দেয় স্থানীয় এক যুবকের ঘাড়ে। যুবক জানিয়ে দেয় কোন ভাবেই ওই নাবালিকার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল না বা নেই। কিন্তু তা মানতে অস্বীকার করে স্থানীয় শাসকদলের নেতা ও মোড়লরা। এরপরে বিভিন্নভাবে চাপ দেওয়া হয়। যুবকের অভিযোগ, এক রাতে ওই নাবালিকার মুখ দিয়ে আমার নাম বলিয়ে বিয়ের মুচলেকা তৈরি করে স্থানীয় শাসকদলের নেতৃত্বরা।
ওই যুবক সকাল হওয়ার আগেই গ্রাম ছাড়েন। আর গ্রামে প্রবেশ করেননি। সোজা মেদিনীপুর আদালতে এসে মামলা করেন। মামলার নোটিশ যায় অভিযুক্ত নেতাদের নামে। তাতে আরও পরিস্থিতি বিগড়ে যায় ওই যুবকের পরিবারের ক্ষেত্রে। নেতারা মামলা তোলার জন্য চাপ দেয় বলে দাবি ওই যুবকের পরিবারের। মামলা না তোলায় বয়কট করা হয় সমস্ত কিছু। চাষ থেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন সব বন্ধ থাকে। বুধবার মেদিনীপুর আদালতে ওই যুবক জানান, “প্রায় দু’লক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানা দফায় দফায় নিয়েছে ওই নেতারা।
Midnapore Court
সেই সঙ্গে মামলা না তোলার কারণে আমার কাকাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মামলা আমরা আবার আদালতে করি। যা এখনো চলছে।” এই পরিস্থিতিতে মেদিনীপুর আদালতের বিচারক ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন। ডিএনএ-র পরীক্ষায় বোঝা যায় যুবকের দাবি সত্যি। যুবক ওই কন্যা সন্তানের বাবা নন। এই পরিস্থিতিতে যুবকদের পক্ষ থেকে পাল্টা মামলা করা হয়। বিচারক সঠিক তদন্তের নির্দেশ দেন। নাবালিকা এতদিনে সাবালিকা হয়েছে। ২০২২ সালের ৪ আগস্ট মেদিনীপুর আদালতের ষষ্ঠ দায়রা বিচারক মিথ্যে অভিযোগ করা ওই কন্যা সন্তানের মা তথা যুবতীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন : পরিবহন দপ্তরের অভিযান মেদিনীপুরে, স্কুল ভ্যান সহ আটক বহুগাড়ি
কিন্তু তারপরও বিভিন্ন কারণে গ্রেফতার হয়নি বলে দাবি অভিযোগকারী যুবকের। আদালতে জানালে আদালত পুনরায় ১০ই নভেম্বর ওই যুবতীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। এরপরে বুধবার ওই যুবতীকে গ্রেফতার করে আনন্দপুর থানার পুলিশ। সেই সঙ্গে ওই কন্যা সন্তানের প্রকৃত বাবা কে তাও খুঁজে বের করার জন্য পুলিশকে পরামর্শ দেয় আদালত। সে কাজ সুষ্ঠুভাবে করার জন্য শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয় গ্রেফতার হওয়া যুবতীকে।
আরও পড়ুন : খবরের জের! দু’বছরের শিশুর ডেঙ্গু, RTPCR সহ সমস্ত রক্ত পরীক্ষা হল মেদিনীপুর হাসপাতালে, দেখালেন চিকিৎসকও
আরও পড়ুন : স্বামী-সন্তানের সংসার ছেড়ে ছিল প্রেমের টান! প্রেমিকের হাতেই খুন প্রেমিকা
যুবকের আইনজীবী শমীক ব্যানার্জি বলেন, “ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণিত হয় যে ওই যুবতী প্রতারণা করেছেন আমার মক্কেলের সঙ্গে। তাই আদালতের নির্দেশে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। একাধিক কারণে তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে। তবে তদন্তের ক্ষেত্রে আনন্দপুর থানার পুলিশ একাধিক গাফিলতি করেছে। যে কারণে ওই কন্যা সন্তানের প্রকৃত বাবা কে তা সামনে আসেনি। বা কার কথাতে এভাবে ফাঁসানো হয়েছিল সেটাও এখনো পরিস্কার করেনি। পুলিশ সঠিক তদন্ত করলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore Court
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali