Home » পশ্চিম মেদিনীপুরে আশ্রয়ে ৫২ হাজার মানুষ

পশ্চিম মেদিনীপুরে আশ্রয়ে ৫২ হাজার মানুষ

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

পত্রিকা প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরেও। প্রচুর গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। অনেক বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। উমপুন সুপার সাইক্লোন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দাঁতনের একাধিক অংশ, এই আশঙ্কায় জেলা প্রশাসনের তরফে মঙ্গলবারই অস্থায়ী সাইক্লোন সেন্টারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মানুষকে। বুধবার বিকেলে সেই সমস্ত অস্থায়ী সাইক্লোন সেন্টার গুলি পরিদর্শন করলেন জেলাশাসক রেশমি কমল। সাথে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক উত্তম অধিকারী সৌরমন্ডল সহ জেলা প্রশাসনের একাধিক আধিকারিক গণ। অস্থায়ী সাইক্লোন সেন্টারে থাকা মানুষদের কোন অসুবিধা হচ্ছে কি না সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি সমস্ত জায়গায় পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী রয়েছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজ নেন জেলাশাসক ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা জেলাশাসক বলেন, ‘‘প্রায় ৫২ হাজার মানুষকে আমরা নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে এনেছিলাম।’’
মেদিনীপুর মেডিক্যাল, মিশন গার্লস চত্বরেও গাছ ভেঙেছে। মেদিনীপুরের পুর-প্রশাসক দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, ‘‘ভেঙে পড়া গাছ দ্রুত সরানো হয়েছে।’’ বুধবার সকাল থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুরে বৃষ্টি শুরু হয়। টানা বৃষ্টিতে কংসাবতীর জল বেড়েছে। আমপানের মোকাবিলায় ব্লকস্তরে, মহকুমাস্তরে, জেলাস্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছিল। জেলা পরিষদেও কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছিল। জেলার ২১টি ব্লকের মধ্যে ১৪টি ব্লককে সতর্ক করা হয়েছিল।
নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে এখনই বাড়ি না ফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব খড়্গপুর মহকুমা জুড়েও দেখা গিয়েছে। ওড়িশা ঘেঁষা দাঁতন, মোহনপুর-সহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে আপাতত বিভিন্ন স্কুলে রাখা হয়েছে। মোহনপুর ব্লকের বাগদা গ্রামে গোবিন্দ পাত্রের বাড়িতে গাছ পড়ে আহত হয় তার ছেলে নবকুমার। খড়্গপুর মহকুমার ২৫ হাজার লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে খড়্গপুর শহরের ১৫০০ জন রয়েছেন। ডেবরায় ২০টি মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিডিও।

খড়গপুরে শহরে ৫০০ জনকে সরিয়ে রাখা হয় সিলভার জুবলি স্কুলে

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.