Flood news
আরও পড়ুন ঃ–ভোট বড় বালাই! মেদিনীপুর শহরে ওয়ার্ডের জমা জল বের করতে প্রতিযোগিতা সম্ভাব্য দুই প্রার্থীর, খুশি এলাকাবাসী
পত্রিকা প্রতিনিধি: পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখলেন জেলা শাসক (District Magistrate) রশ্মি কমল (Rashi Komal)। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দুর্গত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন । ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেন । বিভিন্ন ব্লকের আধিকারিকদের তৎপরতার সঙ্গে বন্যা মোকাবিলার নির্দেশ দিয়েছেন । শুক্রবার জেলাশাসক মেদিনীপুর সদর (Medinipur Sadar) ব্লকের পাঁচখুরি (Panchkhuri), হাতি হলকা (Hatihalka), ছেড়ুয়া (Cherua), পাচরা (Pachra) , বিশ্বনাথপুর (Biswanathpur) প্রভৃতি এলাকায় গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) খতিয়ে দেখেন এবং দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন ।
দু দিনের ভারী বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন ব্লকে বন্যা দেখা দিয়েছে । সবথেকে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে ঘাটাল মহকুমার (Ghatal Sub Division) বিভিন্ন ব্লকে । এছাড়াও কেশপুর (Keshpur) , মেদিনীপুর সদর (Medinipur Sadar) , ডেবরা (Debra), খড়্গপুর গ্রামীণ (Kharagpur Local), গোয়ালতোড় (Goaltore), গড়বেতা (Garhbeta) প্রভৃতি এলাকায় জলমগ্ন হওয়ার চিত্র ভয়ঙ্কর । কেশপুর থেকে নাড়াজোল যাবার রাস্তায় চাতালের উপর দিয়ে জল বইছে । সেখানে যাতায়াত সাময়িক বন্ধ হয়ে গিয়েছে । কেশপুর মেদিনীপুরের (medinipur) মাঝখানে পঞ্চমীর (Panchami) রাস্তায় যে নিচু জায়গা রয়েছে সেখানেও প্রবল স্রোতে জল বইছে। বাইক নিয়ে বা কোনো চারচাকা যাওয়ার উপায় নেই। বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত রাস্তার উপর জলের স্রোত এতটাই ছিল যে সেখানে সাময়িকভাবে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় । শুক্রবার বিকেলে জল একটু নামে । দাসপুরের (Daspur) ৩ নম্বর নিজ নাড়াজোল (Narajole Gram Panchayet) গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২ টি মৌজা (Mouza) ও রাজন্যার (Rajanya) পশ্চিম অঞ্চলের (Paschim Anchal) ৪ টি মৌজায় বিশাল বন্যা দেখা দিয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায় । আনন্দপুরের কাছে কানাশোলে রাস্তার মাঝে পুলের উপর দিয়ে দুদিন ধরে জল বয়ে যাওয়ায় সেখান দিয়ে যাতায়াত করতে সমস্যা হয়েছে সাধারণ মানুষদের।
গোয়ালতোড়ে (Golatore) শিলাবতী (Silabati River)নদী উপচে রাস্তার উপর দিয়ে জল বয়ে যাওয়ায় হুমগড়ের সঙ্গে যাতায়াত দুদিন ধরে বন্ধ। শুক্রবার রাত পর্যন্ত একই পরিস্থিতি ছিল। জেলার বিভিন্ন জায়গায় দুদিনের বৃষ্টিতে প্রচুর মাটির বাড়ি ভেঙেছে। কেশপুরের মুগবাসন (Mugbasan) ,ঝ্যঁাতলা (jhentla),কেশপুর বাজার (Keshpur bajar), পঞ্চমী (Panchami) , বকছড়ি (Bakchari) প্রভৃতি এলাকায় বেশ কয়েকটি মাটির বাড়ি ভেঙেছে। গড়বেতায় মাটির বাড়ির দেয়াল চাপা পড়ে একজন মারাও গিয়েছেন । জেলায় বন্যা প্রবণ এলাকায় সমস্ত ফসল জলের তলায় । মেদিনীপুর শহরে বহু ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়লেও বাড়ি ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তবে শহরে সবথেকে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে পানীয় জল । বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক গুলি জলের তলায় চলে গিয়েছে । যার জন্য অনেকে পানীয় জল সংগ্রহ গ্রহণ করতে পারেনি । অন্য ওয়ার্ড থেকে জল বয়ে আনতে হয়েছে । বিভিন্ন ওয়ার্ডে এলাকার দুর্গতদের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রাজনৈতিক দল এবং কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Flood news
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore