পত্রিকা প্রতিনিধঃ একদিকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি। অন্যদিকে, বেশকিছু জায়গায় বিধানসভা ভোটপর্বও মিটে গিয়েছে। তাই অনেকটা চাপমুক্ত মন নিয়ে দীঘায় ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা। দীঘার পাশাপাশি মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর পর্যটন কেন্দ্রেও একই চিত্র। একইভাবে কাঁথির জুনপুট ও বগুড়ানজালপাই পর্যটন কেন্দ্রেও পর্যটকদের ঢল নেমেছে। সরকারি ও বেসরকারি হোটেলগুলি পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা। তবে শনিবার ও রবিবার ভিড় আরও বাড়ে বলে জানাচ্ছেন হোটেল ব্যবসায়ী ও এলাকার বাসিন্দারা।
তাছাড়া বিধানসভার ভোটের কারণে টানা প্রায় দু’সপ্তাহ কার্যত পর্যটকশূন্য ছিল দীঘা সহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্র। তবে চলতি সপ্তাহ থেকে আবার চেনা ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে দীঘা সহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটকদের মধ্যেও ফুরফুরে মেজাজ লক্ষ্য করা গিয়েছে। দীঘায় বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে আসা এক পর্যটক বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর পর গরমের সময় দীঘায় বেড়াতে এলাম। গরমের সময় সমুদ্রস্নানে নেমে আলাদা আমেজ উপভোগ করছি আমরা। তার সঙ্গে পড়ন্ত বিকেলে সামুদ্রিক হাওয়া খেতে খেতে সৈকতের পাড় ধরে হেঁটে যাওয়ার মজাই আলাদা। এদিকে, দীঘার অমরাবতী পার্ক, টয় ট্রেন, দীঘা বিজ্ঞান কেন্দ্র কিংবা মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ম, প্রতিটি জায়গায় পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করার মতো। পর্যটকের ঢল নামায় হোটেল ব্যবসায়ীরাও খুশি। দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, মাঝখানে বেশ কিছুদিন ধরে দীঘায় পর্যটক সমাগম একটু হলেও কম ছিল। ফের পর্যটকদের ঢল নামতে শুরু করেছে। আমরা আশা করছি, আগামী কয়েকদিনও একইভাবে পর্যটকদের ভিড় হবে।
অপরদিকে দীঘায় পর্যটকের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সজাগ রয়েছে পুলিস-প্রশাসন। অতিরিক্ত ভিড়ের কথা মাথায় রেখে স্নানঘাটগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিপজ্জনক স্নানঘাটগুলিতে কাউকে স্নান করতে বা পা ভেজানোর জন্য নামতে দেওয়া হচ্ছে না। নুলিয়া ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বদা মোতায়েন রয়েছেন। যে সমস্ত পর্যটক মদ্যপ অবস্থায় কিংবা সন্ধ্যার পর জলে নামবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওয়াচ টাওয়ারগুলি থেকে সর্বদা নজরদারি চালানো হচ্ছে।