COVID Record
আরও পড়ুন ঃ–পশ্চিম মেদিনীপুরে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরী বৈঠক প্রশাসনের
আরও পড়ুন ঃ–কোলাঘাটে গুজরাট ফেরত করোনা রোগীর মৃত্যু , উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী
আরও পড়ুন ঃ–মেদিনীপুরে চিকিৎসা করাতে এসে প্রতারণার অভিযোগ বাংলাদেশের নাগরিকের
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ সারা দেশজুড়ে দৈনিক করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী ৷ সংক্রমণের হারকে লাগাম টানতে এরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সচেতনতা মূলক প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে গত ২৪ ঘন্টায় ফের পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর সহ ঝাড়গ্রামে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯০ জন। তার মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৯৬ জন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ২৮৩ জন ও ঝাড়গ্রামে ১১ জন বলে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন সূত্রে জানা যাচ্ছে।
তবে ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষকে করোনা বিধি মানার জন্য প্রশাসনকে মানবিক হতে দেখা যাচ্ছে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে ৷ কোথাও হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় বার্তা দিতে দেখা যাচ্ছে, এমনকি জমায়েত কমাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক বিতরণ করতেও দেখা যাচ্ছে পুলিশকে ৷ কঠোরভাবে শপিংমলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিতেও দেখা যাচ্ছে তাঁদের ৷
প্রতিদিন যত সংখ্যক মানুষের করোনা পরীক্ষা হয় এবং তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যতজনের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে তাকেই ‘পজ়িটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। গত বছর এক সময়ে জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ১৫-১৬ শতাংশে পৌঁছেছিল। পরে অবশ্য তাতে রাশ আসে। দ্রুত কমতে থাকে সংক্রমণ। চলতি বছর মার্চেও সংক্রমণ একেবারে নিম্নমুখী ছিল। ১-৭ মার্চে জেলায় সংক্রমণের হার ছিল ০.৫১ শতাংশ, ৮-১৪ মার্চ জেলায় সংক্রমণের হার ছিল ০.২২ শতাংশ। এর পরপরই দ্বিতীয় ঢেউয়ের রেশ পৌঁছয়।
জেলায় দু’দফায় ভোট হয়েছে। সভা, সমাবেশ হয়েছে। নেতানেত্রীদের প্রচারে উপচে পড়েছিল ভিড়। সামাজিক দূরত্ব থেকে মাস্ক পরা, করোনাবিধি মানেননি অনেকেই। এর ফলেই সংক্রমণ বেড়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। এখনও জেলার বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক দূরত্ব তো দূরঅস্ত, বেশিরভাগ মানুষ আর মাস্ক পরার প্রয়োজনও মনে করছেন না। ফলে ক্রমশ জটিল আকার নিচ্ছে করোনা চিত্র। তবে এক মাসে এরাজ্যে করোনা আক্রান্তের বাড়বাড়ন্ত দেখেই কি সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন সেটাই এখন দেখার।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
COVID Record
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore