Golden Eagle rescued in Nandigram
আরও পড়ুন ঃ-বড়পর্দায় এল মমতাকে নিয়ে ছবি ‘বাঘিনী’, মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় কোলাঘাটের মেয়ে রুমা
পত্রিকা প্রতিনিধি: শীতের মরশুমে বিরল প্রজাতির পাখি উদ্ধার হল পূর্ব মেদিনীপুরে। বিরল প্রজাতির পাখি উদ্ধারে স্থানীয়দের উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো ছিল।স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের খোদামবাড়ী ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কৃষ্ণনগর গ্রামে এক মাঠে থেকে এই বিরল প্রজাতির পাখি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপরে পাখিটি উদ্ধার করেন তাঁরা।
এবিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা দীপঙ্কর দাস বললেন, “বৃহস্পতিবার বিকেলে থেকে পাশে মাঠে অসুস্থ অবস্থায় পাখিটি সকলের নজরে আসে। কাক অথবা কোন শিকারি পাখির দ্বারা আহত হয়ে মাঠে দৌড়াতে দেখা গেছিল। পাখিটির ওজন প্রায় ১০-১২ কেজি হবে। আমরা উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ফাঁকা দোকান ঘরে রেখে, বনদফতরে খবর দেই। তারপরে বনদফতরের হাতে পাখিটি তুলে দেওয়া দি আমরা”।এই পাখিটি দেখার জন্য উৎসুক জনতার ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় দের অনেকের দাবী এটি একটি গোল্ডেন ঈগল। এটি একটি বিলুপ্ত প্রায় পাখি। যাতে পাখিটিকে সুস্থ করে নিরাপদ স্থানে ছাড়েন বনদফতরের কাছে আবেদন জানান অনেকেই।
বন দফতর সূত্রে খবর, বছর কয়েক আগে একটি শকুন উদ্ধার হয়েছিল জেলায়। সেটি মিলেছিল হলদিয়ার হাতিবেড়িয়া এলাকায়। পরে সেটি বালুঘাটা বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পাখিপ্রেমীদের একটি অংশ জানাচ্ছে, গোল্ডেন ঈগল না মিললেও হিমালয়ান গ্রিফন পাওয়াটাও জেলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। অবিভক্ত মেদিনীপুরে শকুন দেখতে পাওয়া যায় না বর্তমানে। সাম্প্রতিক অতীতে ঝাড়গ্রামের আকাশে শকুন দেখা গিয়েছিল। তবে ছবি তোলা সম্ভব হয়নি। শকুনগুলো সম্ভবত ঝাড়খণ্ড থেকে এসেছিল বলে পাখিপ্রেমীদের মত। আর নন্দীগ্রামে পাওয়া পাখিটির বাসস্থান হিমালয় অঞ্চলে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Golden Eagle rescued in Nandigram
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore