Maoist Panic! in Jhargram, the Tinamool party office was shut down in the afternoon.
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : মাওবাদী আতঙ্কে ঝাড়গ্রাম শহর এবং জেলার বেশীর ভাগ তৃনমূল পার্টি অফিস বিকেল থেকে বন্ধ।ভয়? নাকি সতর্কতা? সে যাই হোক না কেন, বিকেল গড়ানোর আগেই ঝাড়গ্রাম (Jhargram) শহর-সহ বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল পার্টি অফিসে তালা পড়ে যাচ্ছে বেশীরভাগ নেতাই মাওবাদী আতঙ্কে বিকেলের পর থেকে নিজের বাড়িতে বা অন্যত্র কোথাও সরে থাকছেন। আর এতেই দুর্নীত গ্রস্ত নেতাদের প্রতি মাওবাদীদের হুশিয়ারি দেওয়া পোষ্টার ঘিরে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন:- কয়েক লক্ষ টাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল,দিন রাত জ্বলছে পথবাতি, নজর নেই পৌর প্রশাসনের! খড়ার পুরসভায় ক্ষোভ এলাকাবাসীর
ক্যামেরার সামনে না বললেও সাধারণ মানুষের বক্তব্য দুর্নীতি পরায়ন বলেই ভয় পাচ্ছেন নেতারা। আর তাই বিকেলের পর আর কাউকে দেখা যাচ্ছে না। সম্প্রতি মাওবাদী পোষ্টার, ল্যান্ডমাইন উদ্ধার এবং পুলিশের সতর্কীকরণকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এরপরেই সীমান্ত লাগোয়া জঙ্গলে তল্লাশি শুরু করেছে বাহিনী। শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। তাদের বক্তব্য বাইরে থেকে আনাগোনা অনেক বেড়েছে। তবে কারো কাছে কোনো অস্ত্র বা সন্দেহজনক কিছু না থাকায় আটক বা গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।
Maoist Panic
আরও পড়ুন:- তোড়জোড় করে চলছিল বিয়ের ব্যাবস্থা! দাসপুরে একই দিনে দুই নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন
তবে সন্ধ্যার পর এলাকার প্রায় সমস্ত তৃনমূলের পার্টি অফিস বন্ধ থাকায় আতঙ্কের পরিবেশ বেড়েছে আরো কয়েকগুন। তৃনমুল কর্মীরাই তা স্বীকার করছেন। নেতাদের দাদাগিরি এখন বন্ধ। সবাই এখন লুকোতে ব্যাস্ত। কারন তাদের থেকেও বড় দাদা মাওবাদীরা তাদের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে। ঝাড়গ্রামের তৃণমূল জেলা সভাপতি দেবনাথ হাঁসদা। তিনি বলেন, প্রশাসন থেকেই আমাদের সতর্ক করা হয়েছে। তাই আমরা জেলায় বলে দিয়েছি, সন্ধে ছটার পর কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি না রাখতে।
আরও পড়ুন:- পটাশপুরে এক পারিবারিক অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণে কাউকে না যেতে ফতোয়া, অন্যথায় জরিমানা, গ্রেফতার ৮
আরও পড়ুন:- শিকারির চেয়ে বেশি বনকর্মী ও পুলিশ! মেদিনীপুর সদরে চাঁদড়ার অরণ্যের হৃদয়ে রক্তক্ষরণে পড়ল ছেদ
তিনি এও বলেন, জঙ্গলমহলে কিছু ঘটার আগেই প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। ঝাড়গ্রাম পৌর এলাকার একটি পার্টি অফিস খোলা-বন্ধ করেন তৃণমূলকর্মী উমাপদ মল্লিক। তিনি বলেন, নেতাদের পুলিশ অ্যালার্ট করে দিয়েছে। তাই এখন তাঁরা কম আসছেন। কোথায় থাকছেন তাঁরা? ওই তৃণমূলকর্মীর জবাব, থাকছেন এদিক-ওদিক। কিন্তু পার্টি অফিসে আসছেন না। খোলা মনে এও জানালেন, ‘আমাদের সেই দাদাগিরি এখন আর চলছে না।’
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
Maoist Panic
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore