Home » দুই মেদিনীপুর সহ ঝাড়গ্রামে করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ ! একলাফেই ১১৫০ , সুস্থ ৭৯১ জন

দুই মেদিনীপুর সহ ঝাড়গ্রামে করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ ! একলাফেই ১১৫০ , সুস্থ ৭৯১ জন

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

Covid News

আরও পড়ুন ঃ-মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়িতে হামলা, খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত সংবাদমাধ্যম

পত্রিকা প্রতিনিধিঃ দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ইতিমধ্যেই বেসামাল দেশের বিভিন্ন রাজ্য। প্রতিদিন আক্রান্তের নিরিখে রেকর্ড গড়ছে এরাজ্যর দুই মেদিনীপুর সহ ঝাড়গ্রাম। গত ২৪ এই ৩ জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১৫০ জন। এরমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৪৫৮ , পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৫৯৪ ও ঝাড়গ্রামে ৯৮ জন। অপরদিকে এই ৩ জেলায় সুস্থ হয়েছেন ৭৯১ জন ও দুই মেদিনীপুরে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের বলে রাজ‍্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন সূত্রে জানা যাচ্ছে। তবে করোনার ভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ দেশের পাশাপাশি এরাজ্যেও আর অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। জনসংখ্যার একটি বড় অংশ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবা বেশি। মনে করা হচ্ছে যে এই মহামারীটি এবার সেই সমস্ত জেলাগুলিতেও প্রভাব ফেলবে যা প্রথম তরঙ্গ ছুঁতে পারেনি। এজন্য আমাদের আরও সাবধানতা বজায় রাখতে হবে।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনা সামলে ওঠার পরও হৃদপিণ্ডে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে হাসপাতালের আউটডোরে দেখাতে আসছেন অনেকেই। তাঁদের পরামর্শ, করোনা-মুক্ত হয়ে গেলেও কয়েক সপ্তাহ সাবধানে থাকা দরকার। প্রয়োজনে ডাক্তার দেখানো জরুরি। শুরুর দিকে হৃৎপিণ্ডে করোনার প্রভাব যতটা ভাবা হয়েছিল, আদতে ক্ষতি হচ্ছে তার চেয়েও বেশি। কম বয়স, সুস্থ-সবল, উপসর্গহীন হলেও করোনার জন্য বড়সড় ক্ষতি হচ্ছে হৃদপিণ্ডের, বিশেষ করে হৃদপেশির। চিকিৎসকদের মতে, ইমিউন সিস্টেমের অতি সক্রিয়তা বা হাইপার ইনফ্ল্যামেশনের জন্যও হৃৎপেশির ক্ষতি হচ্ছে। অতিরিক্ত সাইটোকাইন নিঃসরণের ফলে ফাইব্রিন প্রোটিন ও মৃত কোষ সংযোগে ক্লট তৈরি হচ্ছে আর তাই রক্তবাহে জমাট বাঁধছে। করোনামুক্ত হওয়ার পর কিছু লক্ষণ দেখা দিলে ফেলে রাখবেন না। চিকিৎসকদের মতে, যাঁরা করোনায় নিরাময় হয়েছেন, তাঁরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে হার্ট চেকআপ করে নেওয়াটা জরুরি।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হৃদপেশি ধীরে ধীরে এতটাই দুর্বল হয়ে পড়ে যে তা পর্যাপ্ত ক্ষমতার সঙ্গে হার্ট পাম্প করে উঠতে পারে না। ফলে প্রতি পাম্পে যতটা রক্ত ও অক্সিজেন হার্ট থেকে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ার কথা, সেখানে ঘাটতি হয়ে পড়ে। সময়মতো এই সমস্যাটি শনাক্ত করে চিকিৎসা করলে সমস্যা মিটে যায়। তবে, শনাক্ত না করা গেলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে উঠতে পারে।

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

Covid News

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.