পত্রিকা প্রতিনিধি: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকের মেচগ্রামের বিবেকানন্দ নার্সিং হোমে নিঃসন্তান দম্পতি ৮ বছর পর বুধবার সন্তানের জন্ম দিলেন।উল্লেখ্য,এই প্রথমবার পাঁশকুড়া শোভা হালদারের আশ্রম থেকে জন্ম নিল নবজাতক শিশু পুত্র।বিয়ের ৮ বছর পর বৃহন্নলা বড়মার আর্শীবাদে সন্তানের জন্ম দিলেন দম্পতি অনুরাধা পাল ও অমরকৃষ্ণ রুদ্র পাল। panskura news, panskura news, purba medinipur news, latest bengali news, biplabi sabyasachi news, bengal news
আরো পড়ূণ- মেদিনীপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বিশিষ্ট আইনজীবির
আরো পড়ূণ- ঘাটালে উদ্ধোধন হল ৮০ শয্যা বিশিষ্ট সেফ হোমের
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচগ্রামের বিবেকানন্দ নার্সিং হোমে নবজাতকের জন্ম দেন। এক সাক্ষাৎকারে বড়মার শান্তিধামের শুভ হালদার জানান -বিয়ের ৮ বছর এই দম্পতির সন্তানসন্ততির না হওয়ায় ওরা বড়মার শান্তিধামে ঠাকুরের সেবায় আসে। পরে আমরা জানতে পারি তাদের সন্তান সন্ততি না হওয়ার কারণ অনুরাধার প্রবল থাইরয়েড থাকায় ওর চিকিৎসা চলে। ঐ দম্পতি সন্তান লাভের মানসে ঠাকুরের সেবা ও পরিচর্যা করত। এক মাস আশ্রমের রীতি মেনে এরা স্বামী-স্ত্রী আলাদা থেকে সাত্বিক জীবন যাপন করে। পরের মাসে ওরা স্বামী-স্ত্রীর একত্রে বসবাস করে।পরে আমরা জানতে পারি অনুরাধা সন্তানসম্ভবা। অন্যেরা এরপর বাড়ি চলে যায় কিন্তু এই দম্পতি সন্তান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আশ্রমের প্রযত্নে থেকে যায়। কলিকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের নারী বিশেষজ্ঞ ডা: অপূর্ব মন্ডল আমাদের বড়মা হাসপাতালে আসেন তিনি এর মাসিক চিকিৎসা করেন। চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজের ফার্মাসিস্ট মধুসূদন রায়। শোভাদেবী জানান চাল পোড়া, তুকতাকে সন্তান হওয়ার ঘটনা আমাদের বৃহন্নলাদের বহু আছে কিন্তু আশ্রমে থেকে পরিচর্যা ও পরিষেবা নিয়ে সন্তান লাভের দৃষ্টান্ত এই প্রথম। অনেকের ধারণা সন্তান হলেই আমরা বাড়িতে গিয়ে সন্তান নাচিয়ে আনন্দ করি কিন্তু যাদের সন্তান হয় না তাদেরও সন্তান হোক আনন্দ করুক সেটাও আমরা চাই।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi