পত্রিকা প্রতিনিধিঃ মাধ্যমিকের জন্য নেওয়া মক টেস্টের নাম্বার সংযোজিত করে বিবেচনা করা হোক মাধ্যমিকের মূল্যায়ণে। মেদিনীপুর কলেজিয়েট (Midnapore Collegiate School) স্কুলের নবম শ্রেণির মূল্যায়ণ মাধ্যমিক (Secondary) পর্ষদের তুলনায় বহুগুণ কঠিন। তার মূল্যায়ণে মাধ্যমিকের নম্বর মূল্যায়ণ ছাত্রদের হতাশ করবে। সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনার দাবিতে অভিভাবকদের বিক্ষোভ মেদিনীপুর শহরে (Paschim Medinipur) কলেজিয়েট স্কুলের সামনে।
মেদিনীপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী মেদিনীপুর কলেজিয়েট বয়েজ স্কুল (Midnapore Collegiate Boys School)। যেখানে ক্ষুদিরাম বোস (kshudiram Bose) সহ বহু বিপ্লবীর পীঠস্থান ছিল একটা সময়। নামকরা এই বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন যথেষ্ট কড়া পদ্ধতির বলেই দাবি অভিভাবকদের। মাধ্যমিকে ছাত্রদের পরীক্ষার ফলাফল যাতে ভালো হয় সেজন্য নবম শ্রেণী থেকেই কড়া পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয় এই বিদ্যালয়ে। এবারেও তাই হয়েছে বলে দাবি অভিভাবকদের (Parents)।
অভিভাবকদের পক্ষ থেকে দিব্যেন্দু বিকাশ দাস বলেন (Dibyendu Bikash Das), এই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর পরীক্ষা পদ্ধতি পর্ষদ এর তুলনায় বহুগুণ জটিল। যেখানে ছাত্রদের মূল্যায়ণের তুলনায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জ্ঞান প্রদর্শিত হয় বেশি করে। নবম শ্রেণীতে জটিল পরীক্ষা পদ্ধতি ছাড়াও নম্বর দেওয়া হয় খুবই কার্পণ্যতার সাথে। তার তুলনায় মাধ্যমিকে (Secondary) ছাত্ররা অনেক ভালো নম্বর তুলতে পারে।
তাই এই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর মূল্যায়ণ কখনোই মাধ্যমিকের নম্বরের মূল্যায়ণ সমতুল্য হতে পারে না। প্রয়োজন হলে মাধ্যমিকের জন্য বিদ্যালয় নেওয়া মক টেস্টের নাম্বার বিবেচনা করা হোক। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলার পর লিখিতভাবে প্রধান শিক্ষককে জানান অভিভাবকরা। সেইসঙ্গে জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক ও জেলাশাসককে জানানোর কথা জানিয়েছেন।
অভিভাবক পার্থজিৎ মাইতি (Parthajit Maity) বলেন, নবম শ্রেণির পরীক্ষার সময় অনেক ছাত্রের প্রজেক্ট নম্বর পর্যন্ত পাঠাইনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাছাড়াও কড়া পরীক্ষা পদ্ধতির সাথে সাথে বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক প্রাইভেট টিউশন পড়ান। ফলে নিজের ছাত্রের প্রতি নাম্বার দেওয়ার ক্ষেত্রে নবম শ্রেণীতে অনেক পক্ষপাতিত্ব রয়েছে। সেই মূল্যায়ণ কখনোই মাধ্যমিক পর্ষদের মূল্যায়ন হতে পারে না। আমরা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে মাধ্যমিকের জন্য নেওয়া টেস্টের মূল্যায়ণ ব্যবহার করতে অনুরোধ করেছিলাম। তারা রাজি না হওয়ায় ছাত্ররা হতাশ পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে। আমরা এই বিদ্যালয়ের পদ্ধতি পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে জেলাশাসক, শিক্ষা দপ্তর, শিক্ষামন্ত্রীকেও আবেদন জানবো।