Theft
আরও পড়ুন ঃ–বিপ্লবী সব্যসাচীর খবরের জের! পশ্চিম মেদিনীপুরে অবৈধ বালি চুরি রুখতে পুলিশের অভিযান,গ্রেফতার ২
পত্রিকা প্রতিনিধি: বালি নিয়ে মেদিনীপুরকে (Paschim Medinipur) ‘কলঙ্ক মুক্ত’ করার আবেদন জানিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া (Manas Bhunia)। তাঁর আবেদন যে কেউ কর্ণপাত করেনি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাতের অন্ধকারে চলেছে শ’য়ে শ’য়ে ওভারলোডেড বালি বোঝাই লরি। সরকার অনুমোদিত না থাকলেও অনেক খাদানে বালি তোলা (Sand theft) হচ্ছে বলেও অভিযোগ। অনুমোদন থাকলেও মেশিন দিয়ে অসাধু উপায়ে বালি তোলারও অভিযোগ রয়েছে।
বেআইনি ভাবে বালি তোলা বন্ধ করতে পুলিশ, সাধারণ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, বেআইনি ভাবে বালি তোলা বন্ধ করতেই হবে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে এর বিরুদ্ধে। বালি ও মোরাম নিয়ে মেদিনীপুরকে কলঙ্ক মুক্ত করতে হবে। মানস বাবু কড়া বার্তা দিলেও চিত্র বদলায়নি পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur)। মেদিনীপুর সদরের (Midnapore Sadar) গুড়গুড়িপাল (Gurguripal) থানার মনিদহ (Manidaha), ধেড়ুয়া (Dherua) এলাকায় দেখা গিয়েছে মেশিন দিয়ে বেআইনি ভাবে বালি তোলা হচ্ছে লরিতে। জল সমেত লরিতে বালি বোঝাই হওয়ায় রাস্তারও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সরকারী অনুমোদন না থাকলেও কংসাবতী নদী থেকে বালি তোলা হচ্ছে রাতের অন্ধকারে। ক্ষতি হচ্ছে সরকারের রাজস্বের। স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘অবৈধ ভাবে বালি তোলার বিষয়টি পুলিশ, প্রশাসন, ভূমি দফতরের একাংশ ও জনপ্রতিনিধিরা সবাই জানেন। কেউ পদক্ষেপ নেয়নি।’
মেদিনীপুর সদরের (Medinipur Sadar) বিজেপি (BJP) নেতা সুজয় দাস বলেন, মুখে যায় বলুক, বালি তোলা বন্ধ করতে চাই না। ‘তৃণমূল নেতা, পুলিশ ও প্রশাসনের মদতেই বালি তোলা হচ্ছে অবৈধ ভাবে।’ মনিদহ থেকে ওভারলোডেড বালি গাড়িগুলি রাতের অন্ধকারে মানিকপাড়ার চিতলবনি এলাকা দিয়ে যাতায়াত করে। দিনকয়েক আগে কয়েকটি গাড়ি আটক করে ভূমি দফতর। তারপরও বদলায়নি ছবি। মন্ত্রীর বার্তার পরেও কিভাবে চলছে এই কারবার উঠছে প্রশ্ন।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Theft
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore