পত্রিকা প্রতিনিধি: মেদিনীপুর শহরের স্কুলবাজারের বাসিন্দা, প্রসিদ্ধ এক ব্যবসায়ী (বয়স ৭৫, পারিবারিক অনুরোধে নাম গোপন রাখা হল) গত ১৪ আগস্ট করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। উপসর্গ ছিল, সামান্য। প্রথমে জ্বর ও কাশি ছিল, পরে জ্বর কমলেও কাশি কমেনি। তাই, করোনা পরীক্ষা করান এবং রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে, তিনি বাড়িতেই ছিলেন। covid in medinipur, covid in medinipur, covid in medinipur,covid in medinipur covid in medinipur,covid in medinipur, covid in medinipur, latest bengali news, bengal news, biplabi sabyasachi news
কিন্তু, ১৭ তারিখ নাগাদ শ্বাসকষ্ট অনুভব করায়, স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে শালবনী করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন, ১৮ আগস্ট সকালে। সেখানে প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর, তাঁর পর পর দুটি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু, শারীরিক দুর্বলতা থাকার জন্য, চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিয়েছিলেন, বাড়ি না গিয়ে অন্য কোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে কয়েকদিন ভর্তি থাকার জন্য। সেই পরামর্শ মেনে, মেদিনীপুর শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন ২৮ শে আগস্ট নাগাদ। প্রায় দশদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর, গতকাল (সোমবার) ১১ টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়, ওই বেসরকারি হাসপাতালেই। পরিবার সূত্রে জানা গেল, ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির আগে এবং পরেও দু’দুবার করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছিল। তবে, শ্বাসকষ্ট ও দুর্বলতাটা ছিলই। যদিও, করোনা আক্রান্ত হওয়ার আগে তাঁর হার্ট বা ফুসফুসের কোন সমস্যাই ছিল না। তবে, বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হার্ট অ্যাটাক বা হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। যদিও, সেই রিপোর্ট সব্যসাচী নিউজের হাতে এসে পৌঁছয়নি, তবে শহরের এক অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত, রেসপিরেটরি ফেলিওর থেকেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বা স্ট্রোক হয়ে হয়তো তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কোভিডের ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনাটাই বেশি। অপরদিকে, শহরের আরো বেশ কিছু ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছে, অর্থাৎ করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পর হঠাৎ করেই শারীরিক অবনতি ঘটেছে এবং আরো দু-একটি ক্ষেত্রে এরকম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেদিনীপুর শহরের এক যুবক জানালেন, “আমার বাবা ও মা (বয়স ৫৮ ও ৫২) উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন গত ২২ শে আগস্ট। এই মুহূর্তে তাঁরা করোনা মুক্ত, তবে মারাত্মক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন।” এই ভাইরাসের এই বিপজ্জনক চরিত্রটি নিয়েই আমরা কথা বলেছিলাম, জেলা তথা শহরের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের সাথে।
আরও পড়ুন- কলকাতার বেসরকারী হাসপাতালে মৃত্যু হল ঝাড়গ্রামের শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিকের (ডেপুটি সি.এম.ও.এইচ-২)
করোনা রিপোর্ট বা কোভিড নাইনটিন রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ মানেই ‘করোনা মুক্তি’ বা করোনা ভাইরাসের হাত থেকে পুরোপুরি মুক্ত হওয়া নয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের যৌথ উদ্যোগে, গত ২১ শে জুলাই থেকে ২১ শে অগাস্ট পর্যন্ত যে সেরো-সার্ভিল্যান্স (Sero-Surveillance) বা অ্যান্টিবডি নির্ণায়ক সমীক্ষা করা হয়েছিল, গত ২৬ শে অগাস্ট তার ফলাফল ঘোষণা করে, অন্যতম প্রধান সমীক্ষক তথা জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছিলেন, “২৮ থেকে ১০১ দিনের মধ্যে রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডি (আইজিজি অ্যান্টিবডি) ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, বেশিরভাগ করোনা মুক্ত’দের শরীরে।” এই তথ্য অনুযায়ী, তাঁরা পুনরায় করোনা আক্রান্ত হতে পারেন যে কোনো সময়ে। জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক কিংবা অভিজ্ঞ চিকিৎসক মন্ডলী বারবার বলছেন, এই ভাইরাস প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডি হাম বা চিকেন পক্সের মতো দীর্ঘমেয়াদি নয়; অর্থাৎ হাম বা পক্স হওয়া কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ যেমন খুব কম বা সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ (অন্তত বছর দশেক); এক্ষেত্রে এই ভাইরাসের ধরন অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জা’র মতো, পুনরায় এক-দুমাস বা একবছরের মধ্যে আক্রান্ত হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। এটা গেল এই ভাইরাসের চরিত্রগত একটি দিক, অপর একটি ক্ষতিকারক ও বিপজ্জনক দিক হল, এই ভাইরাস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকখানি কমিয়ে দেয়, অর্থাৎ শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ারের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। গবেষণায় প্রমাণিত, এই ভাইরাস ফুসফুস (Lungs) বা শ্বাসযন্ত্রের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এমনকি, সুস্থ হওয়ার পর বা করোনা মুক্ত হওয়ার পর প্রথম ৭ থেকে ১৫ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ যেকোনো মুহূর্তেই শারীরিক অবনতি ঘটতে পারে, পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তি অথবা অন্যান্য কো-মর্বিডিটি থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে। তাই, এইসময় সাবধানতা এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই চলা উচিৎ বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক তথা পালমোনারি মেডিসিনের (ফুসফুস সম্বন্ধীয় চিকিৎসক বা চেস্ট স্পেশালিস্ট) অভিজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ প্রবোধ পঞ্চধ্যয়ী স্পষ্ট বললেন, “এই ভাইরাস সম্বন্ধে যেটুকু ধারনা করতে পেরেছি, তাতে এটা স্পষ্ট রেসপিরেটরি সিস্টেম (শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া) এর উপর মারাত্মক কুপ্রভাব বিস্তার করছে, অর্থাৎ ফুসফুস বা শ্বাহযন্ত্র’কে বিকল করে দিচ্ছে নিমেষের মধ্যে। সর্বোপরি, এটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, নেগেটিভ রিপোর্ট আসার দিন থেকে সাত দিন বা পনেরো দিনের মধ্যে বড়সড় বিপদ বা দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে, শরীর থেকে ভাইরাস বেরিয়ে গেলেও, রেসপিরেটরি ফেলিওর হচ্ছে, অর্থাৎ শ্বাসযন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দিচ্ছে।” ফুসফুসের সংক্রমণ বা নিউমোনিয়া’র দিকটিকেও তিনি ইঙ্গিত করেছেন। সারি (Severe Acute Respiratory Infection) বা শ্বাসযন্ত্রের (ফুসফুসের) সংক্রমণ থাকলে এমনিতেই শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থাকে, কিন্তু তার সঙ্গে করোনা সংক্রমণ ঘটলে তো কথাই নেই, ভয়ঙ্কর ভাবে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। আর, সারি বা ফুসফুসের সংক্রমণ প্রথম থেকে না থাকলেও, জ্বর কিংবা সর্দি-কাশি’র উপসর্গ যুক্ত করোনা সংক্রমিতদের ক্ষেত্রেও রেসপিরেটরি সিস্টেম বা শ্বাসযন্ত্রের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব বিস্তার করছে, এই বিষয়ে সারা বিশ্বের গবেষক ও চিকিৎসকেরাই এই মুহূর্তে একমত। তবে, বয়স এবং প্রেসার, সুগার, হার্ট ও কিডনির সমস্যা প্রভৃতি বিষয়গুলি যে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে, তা প্রমাণিত সত্য! মৃত্যু’র হার যেখানে ২ থেকে ৩ শতাংশ (মোটামুটি গড় হিসেবে), অনেক চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ খুব সহজেই এই ভাইরাসকে টাইফয়েড কিংবা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভাইরাস বলার পক্ষপাতী। কিন্তু, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এক্ষেত্রে পরিষ্কার ভাবে জানিয়েছেন, টাইফয়েড কিংবা ইনফ্লুয়েঞ্জা’তে নিউমোনিয়া বা ফুসফুসের সংক্রমণ বা রেসপিরেটরি ফেলিওর এর সম্ভাবনা প্রায় নেই, কোভিড ১৯ এর ক্ষেত্রে তা অন্যতম উপসর্গ।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এবং লেভেল ফোর করোনা হাসপাতালে সম্প্রতি (গত দু-তিন মাসে) শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বা রেসপিরেটরি ফেলিওর হয়ে একটা বড় সংখ্যক মানুষ মারা গেছেন, তা স্বীকার করছেন, মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকগণ। একই তথ্য উঠে আসছে, মেদিনীপুর শহরের নামকরা দু-একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকেও। এক্ষেত্রে, যাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে, তাঁরা শালবনীতে মারা গেছেন, আর করোনা পরীক্ষা করার আগেই মারা গিয়েছেন যাঁরা, তাঁরা মেডিক্যাল কলেজ এবং বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অনেকের মৃত্যু’র পর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, আবার অনেকের ক্ষেত্রে রিপোর্ট যেকোনো কারণে নেগেটিভ এসেছে! মেদিনীপুর শহরের বুকে (চিড়িমারসই এলাকার ঘটনা) এমন ঘটনাও ঘটেছে, যেখানে বৃদ্ধের মৃত্যু’র পর অ্যান্টিজেন রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে, কিন্তু পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে! সবমিলিয়ে, এটা পরিষ্কার যে, এই সময়ের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ অনেক মানুষ (মেদিনীপুর শহরের উদাহরণ দিয়েই বলা যায়) মারা গেছেন হঠাৎ করেই, রেসপিরেটরি ফেলিওর কিংবা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে, অর্থাৎ শ্বাসযন্ত্র বা হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে, যা পরস্পরের পরিপূরক। এই বিষয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ পঞ্চানন কুন্ডু নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, “শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে অনেকেই এসেছেন এই সময়ের মধ্যে, অনেককে সুস্থ করা সম্ভব হয়েছে, কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই তা সম্ভব হয়নি। কোভিডের উপসর্গ থাকায় মৃত্যু’র পরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, রিপোর্ট অধিকাংশ ক্ষেত্রে পজিটিভ এলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে নেগেটিভও এসেছে। তবে, কোভিড সংক্রমণে যে ফুসফুস বা রেসপিরেটরি সিস্টেমের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে তা অনস্বীকার্য।” এক্ষেত্রে, লেভেল ফোর করোনা হাসপাতাল কিংবা দু’একটি ক্ষেত্রে মেডিক্যাল কলেজ ও বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে পাঠিয়েও কিছু কিছু রোগী’কে সুস্থ করা সম্ভব হয়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়নি। আর, অনেকগুলি ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ভেন্টিলেশনে দেওয়ার কোনো সুযোগই হয়নি, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন! সম্প্রতি, জেলার করোনা হাসপাতালে এরকম কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়া প্রসঙ্গে জেলার আর্বান হেলথ মিশনের নোডাল অফিসার তথা উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (১) ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছিলেন, “হঠাৎ করে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে এবং রক্ত জমাট বেঁধে গিয়ে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বা রক্ত শোধন প্রক্রিয়াকেই বাধা দান করছে এবং নিমেষের মধ্যে ফুসফুসেও রক্ত জমাট বাঁধছে এবং জল জমে গিয়ে, শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়াকেই স্তব্ধ করে দিচ্ছে।” ফুসফুস সম্বন্ধীয় চিকিৎসক ডাঃ প্রবোধ পঞ্চধ্যয়ীও একই কথা বললেন, “ফুসফুসের প্রদাহ বা নিউমোনিয়া এতটাই মারাত্মক হয়ে যাচ্ছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে ভেন্টিলেশনে দিয়েও কাজ হচ্ছেনা! আর, কোভিড সবথেকে মারাত্মক ক্ষতি করছে ফুসফুসের, যার প্রভাব থেকে যাচ্ছে সুস্থ হওয়ার পরও প্রায় এক মাস।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁরা করোনাভাইরাস আক্রান্তদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্ত ঘনত্ব বৃদ্ধি ও জমাট বাঁধার একাধিক নিদর্শন পেয়েছেন। হাসপাতালের কিডনি বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, কিডনি ডায়ালিসিসের ক্যাথিটারে রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছে। যে ফুসফুসের বিশেষজ্ঞরা করোনা আক্রান্তদের ভেন্টিলেটরে নজর রাখছিলেন, তাঁরা দেখেছেন যে ফুসফুসের একটি অংশ অদ্ভুতভাবে রক্তহীন হয়ে গিয়েছে। স্নায়ু বিশেষজ্ঞরাও রক্ত জমাটের কারণে স্ট্রোক হওয়ার কেস বেশি পাচ্ছেন। ফলে, মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়ে নিমেষের মধ্যে কিছু কিছু রোগী (১-২ শতাংশ) প্রাণ হারাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে তাঁদের বয়স ২০, ৩০, ৫০ কিংবা ৭০ যাই হোক না কেন! কারুর হয়তোবা কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল, তা তিনি নিজেই জানতেন না, কারুর ক্ষেত্রে হয়তোবা নিজের সমস্যা না থাকলেও জেনেটিক্যালি বা পারিবারিক প্রেসার, সুগার, হার্ট বা কিডনির সমস্যা ছিল, আর একেবারে সামান্য কিছু ক্ষেত্রে, বিশ্বের তাবড় বিশেষজ্ঞদেরও গবেষণা বা ব্যাখা’র বাইরে কিছু ঘটনা ঘটে যাচ্ছে! সর্বোপরি, এই মুহূর্তে যে সমস্যাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তথা মেদিনীপুর শহরের ক্ষেত্রেও ঘটছে, তা হল সুস্থ হওয়ার পরও বা কয়েকদিনের মধ্যে হৃদযন্ত্র বা শ্বাসযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু! এক্ষেত্রে ডাঃ পঞ্চধ্যয়ী জানিয়েছেন, “কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়া মানেই পুরোপুরি বিপদ কেটে যাওয়া নয়, বিশেষত উপসর্গযুক্ত বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থাকা এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে, তারপরও অন্তত একমাস চিকিৎসা পরিষেবা বা চিকিৎসকের অধীনে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে, তারপরও যে বিপদ ঘটবেনা, তা একশো শতাংশ নিশ্চিত হয়ে বলা যায়না। কারণ, কিছু কিছু ক্ষেত্রে লাংস বা ফুসফুসের উপর কোভিডের মারাত্মক প্রভাব যেকোনো মুহূর্তে প্রাণঘাতী হতে পারে।” উপসর্গহীন বা কমবয়সী কিংবা সুস্থ ও নীরোগ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ অনেকটাই কম বলে সকল স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাই জানাচ্ছেন এবং ধূমপান মুক্ত সুস্থ ও সুন্দর জীবন-যাপন করার বার্তা দিচ্ছেন।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi