Vote Ticket
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার একটা হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। সেই সময় সকলেই বিজেপির বাংলা জয়ের কাণ্ডারি হতে, হাত ধরেছিলেন গেরুয়া শিবিরের। কিন্তু নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর, বেশিরভাগ নেতৃত্বকেই দল ছেড়ে আবারও নিজেদের পুরনো আশ্রয়ে ফিরে যেতে দেখা গিয়েছে। আর পরিস্থিতিতে ভোটের টিকিট বিনিময়ে টিকিট বিলির অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে । বিজেপির তরফে এই অভিযোগ বার বার উড়িয়ে দিলেও কলকাতার পুরভোটের আগে এমনই এক প্রমান উঠে এল প্রকাশ্যে।
আরও পড়ুন:- খোদ মেদিনীপুর শহরে স্কুলে না গিয়ে ঘুড়ি ওড়ানোয় ব্যস্ত ছাত্ররা, শিক্ষকদের দেখে দৌড়
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুরে ‘পাড়ায় পাড়ায় পৌরসভা’ কর্মসূচিতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পৌর প্রশাসক
সামনে আসল পূ্র্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের বিজেপির প্রাক্তন মন্ডল সভাপতির লেখা একটি চিঠি। অভিযোগ , ২১ বিধানসভায় টিকিট পেতে ২৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও, না মিলেছে টিকিট, না পেয়েছেন টাকা ফেরত। এমতাবস্থায় অভিযোগকারী বিজেপি নেতা আত্মহত্যার হুমকিও দিচ্ছেন। আর এই বিষয় নিয়ে জল্পনার পারদ চড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে পাঁচ দফায় মোট ২৩ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল বিজেপি-র পটাশপুর ১ উত্তর মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি মানস রঞ্জন সামাই-র থেকে।
আরও পড়ুন:- পশ্চিম মেদিনীপুরে স্কুলের ফাঁকা ক্লাসরুমে ধূমপান ছাত্র-ছাত্রীদের, ছবি ভাইরাল নেট দুনিয়ায়
আরও পড়ুন:- ঝাড়গ্রামের বাছুরডোবা এলাকায় লক্ষাধিক টাকার চন্দন গাছ চুরি, এলাকায় চাঞ্চল্য
অভিযোগ উঠেছে, টিকিট তো দূরস্তর, টিকিট দেওয়ার নাম করে নেওয়া এই টাকা এখনও ফেরত পাননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি-র সংখ্যালঘু মোর্চার মহিলা সহ সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিজেপির প্যাডে চিঠি লিখে সেটি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী এবং রাজ্য সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি আলি হোসেনকে হোযাটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন তিনি। আর সেখানে তিনি লিখেছিলেন, টাকা ফেরত না পেলে আত্মহত্যা করবেন। আর তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবেন সংখ্যালঘু মোর্চার মহিলা সহ সভাপতি।
আরও পড়ুন:- শীত পড়তেই জঙ্গলমহল মেতে উঠেছে মোরগ লড়াইয়ের প্রতিযোগিতায়
আরও পড়ুন:- পুরভোটের আগে মাজারে গিয়ে চাদর চড়ালেন শিশির অধিকারী, শুরু রাজনৈতিক তরজা
এমন চিঠি লিখলেও, কিভাবে তা এতদিন পর প্রকাশ্যে এল তা নিয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন মানসবাবু। তবে এই ঘটনায় কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে বিজেপি শিবির। যদিও এই ঘটনার নিয়ে ইতিমধ্যে বিজেপি তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে বিজেপি টাকা লেনদেনের প্রার্থী হওয়ার ঘটনাটি কটাক্ষ করে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তরুণ কুমার মাইতি বলেন, “এ আর নতুন কি! টাকার বিনিময় বিজেপির প্রার্থী কেনে৷ এই কথা ওদের নেতারা বলছেন। সুতরাং কাটমানি নায়ক কারা তা সহজেই অনুমেয়৷’’
আরও পড়ুন:- পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে তৃণমূলের ‘গোপন গোষ্ঠী’র হদিশ ! সরব শিউলি
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Vote Ticket
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore