Durga Puja
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: আনুমানিক ২৮০ বছরের পূর্বে এক বনেদি জমিদার বংশ, মাইতি পরিবারের পূর্বপুরুষ শ্রী লক্ষণ চন্দ্র মাইতি মহাশয় এই পূজার সূচনা করেন। যেখানে দশোভূজা মা দুর্গো পূজিত হয়ে আসছিলেন রং তুলিতে অঙ্কিত পটচিত্রে,যেই দালানে প্রত্যেক বছর ফুটে উঠেন মৃন্ময়ীরুপী জাগ্রত মা দুর্গা। মা দুর্গার প্রসন্নতায় বর্তমানে এই বাড়ির পুজো কর্তাদের উদ্যোগে ২০০৪ সাল থেকে মায়ের পুজো হয়ে আসছে মাটির তৈরী প্রতিমায় যে ধারা এখনো অটুট। শোনা যায় এই পরিবারের মা দুর্গা পাড়া থেকে গ্রামের প্রত্যেকের মনেই খুবই জাগ্রত দেবী। যার দরুন প্রত্যেক বছর কারুর না কারুর মনোস্কামনা পূরণ হওয়ায় মানসিক দান হিসেবে মা উমা ষষ্ঠীর বোধন থেকে দশমীর বিসর্জন পর্যন্ত আরাধিত হন মাইতি পরিবারের দুর্গামন্দিরে।
আরও পড়ুন:- অবশেষে ঝাড়গ্রামের চিড়িয়াখানাতেই খোঁজ মিলল নিখোঁজ চিতাবাঘের
আরও পড়ুন:- পুজোর আগে বেতন-বোনাস না পেয়ে হলদিয়ার কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ
এই মাইতি পরিবারের প্রায় ১৫০ জন সদস্যদের সম্মিলিত প্রয়াসে গত ৫ বছর যাবৎ মায়ের এক সুন্দর নবনির্মিত দেবালয় গড়ে ওঠে। পরিবারের প্রত্যেক সদস্য মনে করেন বছরের এই পাঁচটি দিনে ওনাদের বাড়ির দশভূজা দেবী দুর্গা অসুর বধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে বাড়িতে আসেন আর প্রত্যেকের সমস্ত রাগ অভিমান দুঃখ-কষ্ট কে মুছিয়ে দিয়ে এক আনন্দে ভরা সুখময় পরিবেশের বাতাবরণ সৃষ্টি করেন। নয়াপাড়া মাইতি পরিবারের এই প্রসিদ্ধ দুর্গোপূজো বিশুদ্ধ পঞ্জিকার তিথিরীতি কে মান্যতা দিয়েই ষষ্ঠীতে বেলতলায় বোধিত হন মা দুর্গা। মহা সপ্তমীর ভোরে উলুধ্বনি, শাঁখের সুর, সঙ্গে ঢাকের তালে শুরু হয় মায়ের ঘটত্তোলন এবং মহাস্নান। নবপত্রিকার শুভবন্ধন থেকে কলাবউয়ের সজ্জা তারপরেই সপ্তমীর পূণ্য তিথিতে চাল কুমড়োর ওপরে বেষ্টিত আখের বলি প্রদানের মধ্য দিয়ে ত্রিনয়নী মা দুর্গার চক্ষুদান।
Durga Puja
আরও পড়ুন:- পরম্পরা মেনে শুরু হল মহিষাদল রাজবাড়ির পুজো,পুজিত হবে রাজবাড়ির যুদ্ধের তরবারিও
এরপর মায়ের পায়ে অঞ্জলি-পুষ্পাঞ্জলি প্রদানের মাধ্যমে দুর্গার প্রতি নিজের বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন বাড়িসহ পাড়া-গ্রামের সকলেই।সাধারণত সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী এই তিনদিনই পুষ্পাঞ্জলি হয়, তবে অষ্টমীর অঞ্জলিকে অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। তার কারণ মহা অষ্টমীর এই বিশেষ দিনে পরিবারের শান্তি ও মঙ্গল কামনায় হয়ে থাকে ব্রতপুজো।পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণের পর হাতে ধরে থাকা ফুল-পাতা মহিষাসুরমর্দিনীর চরণে অর্পণ করার রেওয়াজ আছে। অষ্টমীর সমাপ্তি ও নবমীর সূচনার সন্ধিক্ষণে সন্ধিপুজো হয়। এই সময় দুর্গা চণ্ড-মুণ্ড বধের জন্য তাঁর চামুণ্ডা স্বরূপ ধারণ করেন। এ সময় ১০৮টি প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করা হয়। সাথে এতোকাল ধরেই বিরাজমান চালকুমড়ো ও আখের বলি। যা অনেকের মনস্কামনায় পরিপূর্ণতা পায়।
আরও পড়ুন:- প্রচার শুনে ভ্যাকসিন নিতে এসেও নিরাশ, শিবির চালু না হওয়ায় বিক্ষোভ ঝাড়গ্রামে
আরও পড়ুন:- ঝাড়গ্রাম ডিয়ার পার্ক থেকে পালিয়ে গেল চিতা বাঘ, মেদিনীপুরেও জারি সতর্কবার্তা
ঢাকের তালে তাল মিলিয়ে ছোট থেকে বড়ো সকলেই যেমন কোমর দোলায় তেমনই ধুনুচি নাচে মেতে ওঠেন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলে। হাতে ধরে তো বটেই, অনেকে মাথায় রেখে বা দাঁত দিয়ে চেপেও ধুনুচি নাচের আসর জমাতে পিছ পা হন না। হেমন্তের হালকা শীতল বাতাসে ভর করে পূজামণ্ডপে এলো বিষাদের ছায়া। এবার দেবীকে বিদায়ের পালা। ঘরের মেয়ে ফিরে যাবে শ্বশুরবাড়ি।
“ঠাকুর থাকবে কতক্ষন,,
ঠাকুর যাবে বিসর্জন”…
চারদিনের উৎসবের শেষ প্রহরে এসে বিষাদের এই সুরে পরিবার থেকে পাড়া সকলের মনই ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। মহা দশমীর পড়ন্ত বিকেলের গোধূলি লগ্নে মা দুর্গাকে সিঁদূরে রাঙিয়ে, মিষ্টি খাইয়ে, পান, ধান, দূর্বা দিয়ে বরণ করেন মাইতি পরিবারের মা-বোনেরা। বাড়ির মেয়ে উমার বরণের পরই বাড়ি থেকে পাড়ার সকলেই মেতে ওঠেন সিঁদূর খেলায়।
Durga Puja
আরও পড়ুন:- হনুমানের তাণ্ডব মেদিনীপুর শহরের রাঙ্গামাটি এলাকায়, চেষ্টা করেও বাগে আনতে হিমশিম বন দফতর
বনেদি মাইতি পরিবারের দুর্গার মূর্তি কাঁধে করে নিয়ে যাওয়ার চল এককালে থাকলেও, বর্তমানে রিক্সাই ভরসা। নিয়ম মেনেই মায়ের বিসর্জন দেওয়া হয় মাঠ পেরিয়ে গ্রামের শেষ প্রান্তে লক্ষণ মাইতির পুকুরে। শারদীয়ার পর পুজিত হন দেবী অপরাজিতা। ‘অপরাজিতা’ দেবী দুর্গারই এক অন্য রূপ। দশমীর সন্ধ্যায় তারই সহিত ওই মন্দিরে পূজিত হন মা শীতলা ও সত্যনারায়ণ। বিজয়ার দিনে ছোটরা বড়দের প্রণাম করে আশীর্বাদ নেয়। সমবয়সিরা কোলাকুলি করে একে অপরের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেয়। মিষ্টির আদানপ্রদানও হয় বাড়ি থেকে পাড়ার ঘরে ঘরে।
আরও পড়ুন:- খানাখন্দে ভরা রাস্তা! পূর্ব মেদিনীপুরে যাত্রীবাহী ট্রেকার উল্টে গুরুতর আহত ২
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Durga Puja
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: This puja was started about 280 years ago by Shri Lakshan Chandra Maiti Mahasaya, an ancestor of the Banedi zamindar dynasty, the ancestor of the Maiti family. Where the ten-armed mother Durga was worshiped in the paintings painted in the paintbrush. The building in which the earthen mother Durga appears every year. At the initiative of the puja officials of this house, the puja of the mother has been being done since 2004 in the form of a clay idol, which is still intact. It is heard that the mother of this family is a very awake goddess in the mind of everyone from Durga Para. Due to which, every year, as someone’s wish is fulfilled, mother Uma is worshiped as a mental gift in the fort temple of Maiti family from Bodhan of Sasthi to Dedication of Dashmi.
With the joint efforts of about 150 members of this Maiti family, a beautiful newly built temple of Maiti has been built for the last 5 years. Every member of the family thinks that during these five days of the year. The ten-armed goddess Durga of their house kills the demon. Leaves Kailash every autumn to come home as a daughter with the aim of establishing peace. Mother Durga was realized in Beltala in the sixth year by observing this famous Durga Pujo of Nayapara Maiti family. On the morning of Maha Saptami, with the uludhvani, the melody of the conch. The mother’s ghatattolan and mahasnan begin to the beat of the drum.
From the auspiciousness of the new magazine to the decoration of Kalabu. Then on the auspicious date of Saptami, the eyes of Trinayani mother Durga are given. By offering a sugarcane sacrifice surrounded by rice and pumpkins. After that, all the people of the village, including the house, expressed their faith. Respect for Durga by offering wreaths at the feet of the mother. The reason is that on this special day of Maha Ashtami. Bratpujo is performed for the peace and well-being of the family. Sandhipujo is performed at the juncture of the end of the eighth and the beginning of the ninth. At this time Durga assumed the form of his chamunda to kill Chanda-munda. At this time 108 lamps were lit. I have been sacrificing rice and sugarcane for so long. Which is fulfilled in the minds of many.