পত্রিকা প্রতিনিধি: রেকর্ড ভেঙে দুই মেদিনীপুরে ফের লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের (৫ জুলাই) রিপোর্টে অনুযায়ী, দুই জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০।
খড়্গপুরে করোনা সংক্রমণ বাঁধ ভেঙ্গে একই দিনে আক্রান্ত সাত উদ্বেগ বাড়িয়ে সংক্রমণ ছড়ালো শহরজুড়ে । করোনা কালের সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে একই দিনে শহরে এক মহিলা সহ 7 জনের করেণা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে । এবং আরো বিপদের কারণ এই যে এইবার শহরে পুরনো জায়গার পাশাপাশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে কয়েকটি নতুন জায়গাতেও ল। খড়্গপুর মহকুমা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে যে সন্ধান মিলেছে তার মধ্যে চারজনের নমুনা সংগ্রহ করেছিল খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল ও তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন খড়্গপুরের রেল হাসপাতালে । এর মধ্যেই দুজন খড়্গপুরের ভবানীপুরের বাসিন্দা যেখানে আগে থেকে আরো চারজন কোভিড পজেটিভ চিকিৎসাধীন । দুজন রয়েছেন কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের ওল্ড সেটেলমেন্ট বাসিন্দা এই ওয়ার্ড টি বিদায়ী পার্ষদ খড়্গপুরের বিধায়ক প্রদীপ সরকারের ওয়ার্ড যে দুজনের করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে তারা দুজনই কানপুর থেকে একটি বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরে ছিলেন তাদের লালা রস পরীক্ষা হয় তাদের দুজনেরই পজেটিভ রেজাল্ট আছে । একজন রেল সুরক্ষা বলের জাওয়ান 26 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা । এক একজন ৯ নম্বর ওয়ার্ড কুমার পাড়ার বাসিন্দা তিনি প্রাক্তন রেলকর্মী অসুস্থতা বোধ করায় খড়গপুর রেল হাসপাতলে পরীক্ষা করানো হয় সেখানেই রেজাল্ট পজেটিভ আসে। এবং আরেকজন খরকপুর বিমানঘাঁটি এলাকার কলাইকুন্ডা বাসিন্দা ।
লকডাউন টু শুরু হয়ে গেছে । প্রশাসনের তরফ থেকে বারবার বলা সত্ত্বেও বহু মানুষ মাস্ক ছাড়াই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন । শুধু বলায় কাজের কিছু নেই । রাস্তাঘাট দোকানপাট ক্লাব সব জায়গায় একই ছবি । কদিন আগেই খড়্গপুর পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান এবং প্রশাসক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য এবং খড়্গপুরের বিধায়ক প্রদীপ সরকার মাস্ক ছাড়া বাড়ি থেকে বের হলেই 100 টাকা করে ফাইন দিতে হবে কিন্তু খোদ খড়্গপুরের বিধায়ক এবং বিদায়ী চেয়ারম্যান কে শহরে আনাচে-কানাচে মাস্ক ছাড়াই ঘুরতে দেখা দিচ্ছে । কেউ কেউ কটাক্ষ সুরে এটাও বলেছেন যদি খড়্গপুরের পুরসভার প্রশাসক এবং খড়্গপুরের বিধায়কের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে সাধারণ মানুষ কি করে মাস্ক পড়বেন ।