আরও পড়ুন ঃ–ঘাটাল কোভিড হাসপাতালের ইন গেটের সামনে উদ্ধার করোনা আক্রান্তর ঝুলন্ত দেহ
পত্রিকা প্রতিনিধি: বন দফতরে লোকবলের অভাব। এই সুযোগে গাছ কেটে নিচ্ছে কিছু অসাধু মানুষ। রাজ্য জুড়ে চলছে কার্যত লকডাউন (Lockdown) পরিস্থিতি। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গলে প্রবেশ করে একের পর এক গাছ কাটা চলছে। গাছ বাঁচানো এবং পরিবেশ সচেতনতার বার্তার পরেও বেশকিছু মানুষ এখনও যে সচেতন নন তা পরিষ্কার। নির্বিচারে চলছে জঙ্গল থেকে গাছ কাটা। এমনই চিত্র বুধবার উঠে এলো মেদিনীপুর সদর ব্লকের (Medinipur Sadar Block) কঙ্কাবতী গ্রাম পঞ্চায়েত (Kankabati Gram Panchayat) এলাকার দেলুয়াতে। ওই এলাকার স্থানীয় বেশ কয়েকজন মহিলাকে সকালবেলা জঙ্গলে থেকে শাল গাছ কেটে নিয়ে মাথায় করে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়। গাছ কাটছেন কেন? তাদের জানতে চাওয়া হলে উত্তর, “বেশ করেছি গাছ কেটেছি আবারও কাটবো।” প্রতিদিন এভাবে গাছ কাটা হলে জঙ্গল যে দ্রুত ধ্বংস হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে বন দফতরে যথেষ্ট লোকজনের অভাব রয়েছে। প্রত্যেকটি ফরেস্ট অফিসে পর্যাপ্ত লোকবল নেই। বিশাল এলাকার জঙ্গল লক্ষ্য রাখাও অসম্ভব। সঙ্গে রয়েছে চারা গাছ তৈরি, হাতি তাড়ানো সহ অফিসের নানান কাজ। তবে জঙ্গল রক্ষায় গড়ে তুলেছেন এলাকায় বন সুরক্ষা কমিটি। তবে বিভিন্ন এলাকায় এই কমিটিগুলিও সচেতন নন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই স্বীকার করছেন, বন দফতরের লোকজনের অভাবকে। প্রতিটি জঙ্গলে পাহারা দেওয়া যে অসম্ভব বনকর্মীদের তাও মানছেন।
করোনা পরিস্থিতিতে (Corona Situation) চারিদিকে অক্সিজেনের হাহাকারের চিত্র বর্তমান। গাছ রক্ষা করার গুরুত্ব কতখানি তাও পরিস্কার। তার মাঝে এই চিত্র অসচেতনতা বলেই মনে করছেন পরিবেশ সচেতন ব্যক্তিরা। মেদিনীপুর রেঞ্জের (Midnapore Range) আধিকারিক পাপন মহান্ত (Papan Mahanta) জানিয়েছেন, আমাদের বনকর্মীরা বিভিন্ন জঙ্গলে সকাল থেকেই ডিউটিতে থাকেন। তার মাঝেই ফাঁকা পেলে সেই মুহূর্তে গাছ কেটে হয়তো ফিরছেন কিছু জন। জোরদার নজরদারির পাশাপাশি বন সুরক্ষা কমিটিগুলিকে সচেতন করতে জোর দেওয়া হবে। তবে ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বেআইনি ভাবে মজুত করা গাছ বাজেয়াপ্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Cutting trees
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore