The accused in the Pingla Rape Case was taken to Medinipur court, the protest was held in the office of the district governor and superintendent of police.
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার কালুখাড়া গ্রামে প্রতিবন্ধী মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মেদিনীপুর আদালতে পাঠাল পুলিশ। অন্যদিকে ঘটনার প্রতিবাদে প্রতিবন্ধী সংগঠন উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখালো জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের দপ্তরে। সোমবার রাত ন’টা নাগাদ পিংলা থানার অন্তর্গত কালুখাঁড়া গ্রাম এলাকায় এক প্রতিবন্ধী মহিলাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পাশের মাঠে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিৎ মন্ডলের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন:- ঝাড়গ্রামে নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় ২০ বছর সশ্রম কারাদন্ড যুবকের
আরও পড়ুন:- শিকারকে কেন্দ্র করে শিকারিদের মধ্যে গণ্ডগোলে উত্তেজনা লালগড়ে
ঘটনার পর এই অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে আক্রান্ত ওই মহিলা ও পরিবারকে নিয়ে মেদিনীপুর আদালতে হাজির হয়েছিল মঙ্গলবার। পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে কোতয়ালী থানার পুলিশের সামনে বয়ান দিয়েছেন ওই আক্রান্ত মহিলা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই কর্মসূচির মাঝে অভিযুক্ত যুবক তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিৎ মন্ডলকে আটক করেছিল পিংলা থানার পুলিশ। বুধবার তাকে গ্রেফতার করে পাঠানো হয় মেদিনীপুর আদালতে।
আরও পড়ুন:- ঝাড়গ্রামে পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মৃত ২
Pingla Rape Case
ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে দেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। মঙ্গলবার বিকেলে মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে পরিষ্কার জানান, “ঘটনা সত্যি হলে দোষী যেই হোক তার বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা নিক পুলিশ। কোথাও কোনো রকম ভাবে রেওয়াত করা হবে না।” অন্যদিকে বুধবার বেলা বারোটার পর প্রতিবন্ধী সংগঠন “পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনী”র পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী সদস্যরা প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসকের দপ্তরে সামনে। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কান্তি গাঙ্গুলি। কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর পুলিশ সুপারের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে হাজির হন সকলে।
আরও পড়ুন:- বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের! ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়িতে যুবকের রহস্যমৃত্যু
ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে দেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। মঙ্গলবার বিকেলে মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে পরিষ্কার জানান, “ঘটনা সত্যি হলে দোষী যেই হোক তার বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা নিক পুলিশ। কোথাও কোনো রকম ভাবে রেওয়াত করা হবে না।” অন্যদিকে বুধবার বেলা বারোটার পর প্রতিবন্ধী সংগঠন “পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনী”র পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী সদস্যরা প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসকের দপ্তরে সামনে। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কান্তি গাঙ্গুলি। কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর পুলিশ সুপারের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে হাজির হন সকলে।
পুলিশ সুপারের দপ্তরের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে কিছুটা ঠেলাঠেলি হয়। পরে স্বাভাবিকভাবেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দপ্তরে ঢুকে লিখিত ডেপুটেশন দেন সংগঠনের নেতৃত্ব। দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন তারা। কান্তি গাঙ্গুলি বলেন, “ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে যা চেপে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা এর প্রতিবাদ করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছি।” তবে অভিযুক্ত যুবককে মেদিনীপুর আদালতে হাজির করে পুলিশ সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেছিলেন বিচারকের কাছে।
বিচারক তিন দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছেন। সরকারি আইনজীবী নাজিম হাবিব জানিয়েছেন, “ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা ও শীলতাহানি মারধরের অভিযোগ রয়েছে। ধৃত যুবক ছাড়া আরও একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তবে সে এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। বিচারক তিন দিনের পুলিশ হেফাজত অনুমতি দিয়েছেন।” মেদিনীপুর শহরে রাজ্য জুড়ে খুন ধর্ষণের প্রতিবাদে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের উদ্যোগে মিছিল ও জেলা শাসক দপ্তরে বিক্ষোভ ডেপুটেশান কর্মসূচী হয়। ছিলেন, মেদিনীপুর কলেজের ছাত্রী দিশা বেরা ও পার্থ মাজী, রনিতা পড়্যা সহ অন্যান্যরা।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
Pingla Rape Case
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore