ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : বিদ্যাসাগরের জন্মভূমির পাশের এক বালিকা বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন থমকে রয়েছে, একশো বছরের প্রাচীন ভগ্নদশা বিদ্যালয়ের মধ্যে পঠনপাঠনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে উচ্চশিক্ষা দপ্তর , বিদ্যালয়ের ৪৫০ জন ছাত্রীর পঠন পাঠান হয় প্রতিবেশি বিদ্যালয়ে। বিল্ডিং এর হালহকিকত সরেজমিন ক্ষতিয়ে দেখে পড়ুয়াদের অন্যত্র ক্লাস করার ব্যবস্থা হলেও এই আশঙ্কাজনক ত্রিতল বাড়ির মধ্যে ২০ জন তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত আবসিক ছাত্রীদের রেখে দেওয়া হয়েছে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
নতুন বিল্ডিং এর জন্য ৭ মাস আগে সাংসদ দেব ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন, অফিসিয়ালিভাবে সেই বরাদ্দ টাকার প্রপোজাল জেলাশাসকের কাছে দেওয়া থাকলেও জায়গাযটে সেই টাকা বিদ্যালয়ের কাজে বরাদ্দ করা যায়নি বলে সাংসদ প্ররিনিধি রাম পদ মান্না জানিয়েছন। তিনি বলেন বিদ্যালয়ের নতুন বিল্ডিং তৈরির জমিযট কাটলেই সেই টাকা পেতে পারবে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ। দেবের ঘোষণার টাকা পায়নি বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেশমি চক্রবর্তী। দুবছর আগে বিধায়কের বরাদ্দ ৫ লক্ষ টাকাও বিদ্যালয়ের কাজে লাগেনি, জানাগিয়েছে সেই টাকা বিদ্যালয় পর্যন্ত পৌঁছায়নি বলে বিধায়ক শীতল কপাট জানিয়েছেন।
তিনি বলেন রাজনীতির কারণে মেরামতের জন্য বরাদ্দ টাকা ব্লক সেকশনে এলেও তার কাজ হয়নি কোনো কারণে। সেই টাকা ফেরত চলে গিয়েছে। রাজনীতির কাঁটায় ৭ বছর ধরে বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি নেই, বর্তমানে ৪৫০ জন ছাত্রীকে নিয়ে পাশের বিস্যালয়ে সাড়ে ৫ ঘন্টার পরিবর্তে ৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট ক্লাস হয় সকালে। আর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় দুঘন্টা পঠনপাঠন কম চলে। নতুন স্কুল বিল্ডিং এর জন্য জায়গা ঠিক হলেও তা কাগজে কলমে বিদ্যালয়ের নামে হয়নি। এমনই অবস্থা খড়ার সূর্ষবাগ হেমাঙ্গিনী হাইত বালিকা বিদ্যালয়ের। বিদ্যাসাগরের এলাকার এই বালিকা বিদ্যালয় এভাবেই মুখ থুবড়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন : প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেয়নি! কেউ স্বামী হারা, কেউ সন্তান হারা, মহিলারা জোট বাঁধলেন চোলাই ভাটি ভাঙতে
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণ মেদিনীপুর শহরে, বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিল বনদপ্তর
গতশুক্রবার দেব বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে ভোট প্রচারে যেতেই দেবের পিছনে ছুটতে দেখা যায় বিদ্যালয়ের চাত্রী নিবাসের ছাত্রীদের, তবে এরা কেউ দেবের সাথে ফটো বা হাত মেলাতে যায়নি সেদিন, তাঁদের প্রাণপন চেষ্টা ছিল বিদ্যালয়ের অবস্থা এবং ভাঁঙা চোরা ঘরে তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেন থাকবে তা জানাতে, কিন্তি দেবের সাথে দেখা করতে পারেনি তারা, চেষ্টা করলেও আটকে তাদেরকে আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে। তাদের প্রশ্ন যে বিদ্যালয়ের ভগ্ন দশার জন্য ক্লাস করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে শিক্ষা দপ্তরে সেখানে তাদের ছাত্রীনিবাস থেকে যায় কিভাবে? গার্ডেনরিচে বহূতল বিল্ডিং ধ্বস কান্ডের পর সরব হয়েছে এই সকল আদিবাসি ও তপশিলি শ্রেনীভুক্ত ছাত্রীরা।
যদিও এবিষয়ে ঘাটালের অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরির্দশক(মাধ্যমিক) হিমাদ্রী ঘোষ বলেন খুব শিঘ্রই এটা ক্ষতিয়ে দেখা হবে, বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটি গঠনের জন্য সভাপতি নির্দিষ্ট করার চিঠি উচ্চ শিক্ষা দপ্তরে গেলেও কোনো অজানা কারণে সেই ফাইল ঠান্ডা ঘরেই থেকে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা। নতুন বিল্ডিং এর জন্য জায়গা কবে মিলবে? কবে ম্যানেজিং কমিটি গঠন হবে? কবে পরিকাঠামো উন্নয়নে টাকা আসবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকাবাসীর । এবিষয়ে রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে এলাকার সকল শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি, প্রশাসনিক আধিকারিক, জনপ্রতিনিধি, এবং জমিদাতাদের দ্রুত এগিয়ে আসা উচিৎ বলেই মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন : ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে এবার অভিনেতা বনাম অভিনেতার লড়াই! জল্পনা তুঙ্গে
আরও পড়ুন : হুটার বাজিয়ে এসকর্ট করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাবে বনদপ্তর, থাকবে কড়া নজরদারি
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Paschim Medinipur
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper